ফ্ল্যাপে থেকে নেয়াঃ ভ্রমণ অনেকে করেন কিন্তু সকলেই পর্যটক নন।আর সব পর্যটক লিখতে জানেন না।দেশে-বিদেশে বিস্তর ঘুরেছেন সৌমিত্র দেব।কবিতা পড়তে গেছেন আমেরিকার টেক্সাসে।সেখানে থেকে নিউইয়র্ক, জুয়ার রাজ্য আটলান্টিক সিটি, চলচ্চিত্রের রাজধানী হলিউড, মহাশূন্যের তীর্থস্থান নাসা।একটি বাংলা রেস্টহাউস উদ্বোধন করতে গেছেন চায়না। লেখালেখির জন্য ট্যুরিজম বোর্ডের আমন্ত্রণে গেছেন নেপাল। বারবার ছুটে গেছেন উত্তর-পূর্ব ভারত।উনকোটি থেকে কামরূপ কামাখ্যা।মধ্যখানে শিলঙ। তার ভ্রমণ তালিকা থেকে বাদ পড়ে নি কক্সবাজারের রূপালি সৈকত।প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন।জলে স্থলে অন্তরীক্ষে ভ্রমণের ত্রিমাত্রিক ব্যঞ্জনা রয়েছে বইটিতে আগাগোড়া। তার সঙ্গে লেখকের অনন্য রচনাশৈলী বইটিকে অনবদ্য করে তুলেছে। মোস্তফা সেলিম
ভূমিকা ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতি আমাকে আকর্ষণ করে।মানুষও তেমনি। অজানাকে জানার নেশায় ঘুরে বেড়ানোর সাধ জাগতো।কিন্তু পুত্রসন্তান হবার অপরাধে সে সময় ছিলাম ঘরবন্দি। বাবা আমাকে চোখে চোখে আগলে রাখতেন। তবে ভ্রমণের নেশা তাতে দমে যায় নি। তখন গ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে তৃপ্ত হতো আমার ভ্রমণের আনন্দ। সেরকম মানস ভ্রমণে পারিবারিকভাবে কোনো বাধা ছিল না। একদিন বাবা এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেলেন। জানি না তিনি এখন পরলোকে ভ্রমণ করছেন কিনা। কিন্তু তার অনুপস্থিতি একদিকে আমাকে দাঁড় করালো অনিশ্চয়তার মুখোমুখি অন্যদিকে আমার ভ্রমণপিপাসু মনকে দিল আজাদী।একটু একটু করে বাইরে বেড়ুনো শুরু করলাম।ঘর থেকে বাইরে।দেশে থেকে বিদেশে।আমার কবিতা ও বিভিন্ন রচনাকর্মে পড়লো সেই ভ্রমণের প্রভাব।লিপিবদ্ধ হলো বিশ কিছু ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। এর বাছাই করে বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করে দিলেন আমার সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী শ্রাবণী সেন।বই প্রকাশের আগ্রহ দেখালেন উৎস প্রকাশনের কর্ণধার মোস্তফা সেলিম।গ্রন্থভূক্ত লেখাগুলো বিভিন্ন সময় দৈনিক প্রথম আলো, মানবজমিনের প্রকাশনা জনতার চোখ, দেশবাংলা, অভিমত প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সৌমিত্র দেব সূচিপত্র *জার্নি বাই এরোপ্লেন *কৈলাসহর থেকে উনকোটি *আমেরিকায় সাহিত্য সম্মেলন : সবখানে তার আলো *বরাকের জল যায় *শিলঙের শৈল শিখরে *তন্ত্রমন্ত্র যাদু বিদ্যার দেশে *মহাশূন্যের তীর্থস্থান নাসা *চিরবসন্তের চীনা নগরী *শহরের নাম আটলান্টিক *হলিউডে কয়েক ঘন্টা *হিমালয়কন্যার হাসি *সমুদ্রে পেতেছি শয্যা