ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ চৌদ্দ পংক্তির আঁটোসাঁটো বন্ধনে মোড়ানো ৫৬টি কবিতার আধার জল-অন্তঃপ্রাণ- আগাগোড়া প্রণয়চিহ্নের বই; প্রায় প্রতিটি কবিতার শরীরে গেঁথে আছে সকাতর প্রণয়বন্দনা এবং হৃদয়মথিত অনুভূতির পিছুটান; তারই চোরাস্রোতে প্রবহমাণ দেহগত বাসনার গুপ্ত ফুল- আত্মতাড়িত কবিতার ক্ষেত্রে যে-রকম ঘটে। এভাবে উচ্চারিত সেই স্বর : ‘মেঘের প্রার্থনা নেই- তবু আমি ভিজে িএকাকার/ এই উদার বৃষ্টিতে- সঙ্গহীন সঙ্গীতের রাতে/আকাশ কাঁদছে একা: যে সমুদ্রের অভিসম্পাতে / জলের শেকড় থেকে ছিড়ে গেছে স্রোতের সেতার.........।’ কিন্তু সেই ‘আত্মতা’ সময়ের নিশ্চিত প্রবাহ থেকে চাইলেই কি দূরে থাকতে পারে> না, জল-অন্তঃপ্রাণ-এ তাই যুক্ত থেকেছে কবি ও সময়ের অনিবার্য আততি; তা যতো রোমান্টিকই হোক না কেন, সমকালীন দেশ ও কালের রেফারেন্স অগ্রাহ্য করতে পারে নি। এমনকি হাজির থেকেছে বিগত কালের সাহিত্যের অ্যাল্যুশন; তাই মানিকের শশী ও কুসুম, লাল-রবীন্দ্রনাথ-জীবনানন্দ-বুদ্ধদেব-সুধীন্দ্রনাথ-অমিয়’র লেখা বা কথার যুক্ততায় অ্যাল্যুশন হয়ে উটেছে কবির কথকতার আশ্চর্য সহায়ক, আদতে তা সমকালীন জীবন ও সময়, প্রসঙ্গ ও অর্থের দ্যোতক। তারেক রলেছেন, ‘যুগের জোয়ালে কারো যদি থাকে আস্থার অভাব/লাঙলের ফলা তাকে রিক্ত করে........’ রিক্ত নয়, তারেক রেজা পূর্ণ হতে চেয়েছেন কিংবা কবিতাকে পূর্ণ করতে চেয়েছেন আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি দ্বারা।