১৯৩৭ এ ইহুদিরা যখন এখানে এসে কলোনি করার চেষ্টা শুরু করল তখন
আরবরা বলল যে, তাদেরকে থামিয়ে দেয়া হোক। কিন্তু উইন্সটন চার্চিল তখন জবাব দিতে গিয়ে আরবদের দাবি প্রত্যাখ্যান করল এবং কলোনির পক্ষে বলল। সে বলল, I do not admit...that a great wrong has been done to the red indians of America, or the black people of Australia...by the fact that a stronger race, a higher grade race...has come in and taken its place, 'আমার মনে হয় না যে, আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ান, মূল অধিবাসী যারা, বা অস্ট্রেলিয়ার মূল অধিবাসী কালোদের সাথে কোনো অন্যায় হয়েছে। কোনো অন্যায় হয়নি। অধিক ক্ষমতাধর একটি প্রজন্ম, একটি উত্তম জাতি, একটি বুদ্ধিমান জাতি সেখানে আগমন করেছে এবং সেখানকার ভূমি দখল করে নিয়েছে।
এই চার্চিলই ভারতীয়দের ব্যাপারে বলেছিল যে, ভারতীয়রা জন্তু। ভারতীয়দের ধর্ম জানোয়ারদের মতোই। 'I hate indians, they are a beastly people with a beastly religion.'
এই চার্চিলই ২৫ লক্ষ ভারতীয়দের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল। কিন্তু ন্যারেটিভ দেখেন, হিটলারও একই কাজ করেছিল। কিন্তু সে হলো এই শতাব্দীর সব চাইতে বড় ভিলেন। চির্চিল-ও একই কাজ করেছে। তার অনেক চিন্তা ও মতাদর্শ হিটলারের মতোই। কিন্তু সে এই শতাব্দীর সব চাইতে বড় নায়ক।
শুরুতে যে ন্যারেটিভ তৈরির কথা বলেছিলাম এটা তারই ফল। সফলভাবে মিথ্যা বয়ান নির্মাণের ফলেই হিটলার বিশ্বের কাছে ভিলেন রূপে চিত্রিত হলেও চার্চিল চিত্রিত হয়েছে হিরো হিসেবে।
ফলে, জেনোসাইড, গণহত্যা কিংবা যে কোনো ধরণের এথিনক ক্লিনজিং প্রতিহত করতে হলে, সমাজে সত্যটা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মিথ্যার বিপরীতে সত্যের পাটাতনে এনে দাঁড় করাতে হবে সমাজকে। গুজব, ভুয়া তথ্য ও মিথ্যা বয়ানের আস্তর ঘষেমেজে তুলে ফেলতে হবে সমাজের চোখের উপর থেকে। আমাদের এই ক্রোড়পত্রটি সেই সত্যের পাটাতন নির্মাণেরই ক্ষুদ্র একটা প্রয়াস। আমাদের প্রয়াস কতটা কার্যকর ও সফল হবে- তা সময়ই বলে দেবে। তবে আমরা এতটুকু বলতে পারি, আমরা আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে সময়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। আশা করি, এটা ব্যর্থ হবার নয়।
আমাদের এই প্রয়াসে যারা সামান্যও অংশী হয়েছেন আমরা তাদের সকলের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। সকলের ভালো হোক।
আহমাদ সাব্বির
সম্পাদক,: যোগাযোগ
৫০ জন জনপ্রিয় লেখকের কলমে সজ্জিত এবারের যোগাযোগ ফিলিস্তিন সংখ্যা।