আমাদের জানতে হবে, আমরা কী হতে চাই?
আমাদের স্বপ্ন কী?
আমরা পৃথিবীর বুকে কী নির্মাণ করতে চাই?
একজন ব্যক্তির সবচেয়ে গঠনমূলক সময় হচ্ছে ছাত্র-জীবন, যা আত্মউন্নয়ন, জীবন- গঠন ও ভবিষ্যত-নির্মাণের স্বর্ণযুগ। এ যুগে যে যত গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা ও দীক্ষামগ্ন থাকবে, তার জীবন তত দামী ও সুন্দর হবে। তাই একজন শিক্ষর্থীর জানতে হবে নিজ জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কীভাবে আগলে রাখবে? কীভাবে প্রতিটি মুহূর্তকে মান ও গুণে রূপান্তর করবে? কীভাবে জ্ঞানের সাগরে সাঁতার কাটবে? এ কাজে কী “আসবাব” তার দরকার? কী তার পথের বাধা? সে বাধা ডিঙ্গানোর উপায় কি? জীবনে কীভাবে ধীরে ধীরে উন্নতির শিখরে পৌঁছবে? প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন ব্যর্থতায় পেরিয়ে এলেও কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে-লেখক যেন তার মানচিত্র একেঁ দিয়েছেন বইটির পাতায় পাতায়।
বইটি পড়ার পর মনে হবে শিরদাঁড়া সোজা করে পরিশ্রমের মাঠে নেমে যাই। জীবনের অমূল্য সময়কে কাজে লাগাই। তাই শিক্ষার্থীদের পাঠমুখী ও পাঠমগ্ন হতে এবং জীবনের লক্ষ ঠিক করে তা অর্জন করতে এই বইটি একটি মূল্যবান দিকনির্দেশিকা।
এই বইটি শুধু একবার পাঠের মতো নয়। ছাত্র- জীবনের বাঁকে বাঁকে বারবার পাঠ করে নিজের গতি-প্রকৃতি পরখ করার উপযোগী। লক্ষ্য থেকে ছিটকে পড়লে বা নিজের মনোবল ভেঙ্গে পড়লে নবায়ন করতে এটি ছাত্র জীবনের সহায়িকা হিসেবে কাজ করবে ইনশাআল্লাহ।