কথার আঘাত তিরের চেয়েও মারাত্মক। চিকিৎসার মাধ্যমে তিরের ক্ষত ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু কথার আঘাত কোনো চিকিৎসা-ই দূর করতে পারে না। জনম জনম এই আঘাত থেকে যায়। তাই মুখ থেকে বের হওয়া প্রতিটি শব্দে সর্বোচ্চ সতর্কতা কাম্য। কাউকে গালি দেওয়া, গালির জবাবে গালি দেওয়া, ঝগড়া করা, মিথ্যা বলা, গিবত করা, অপবাদ দেওয়া, মুখে মুখে তর্ক করা—এর কোনোটাই কিন্তু হাত কিংবা পা-এর সাহায্যে করা যায় না। মুখের সাহায্যে করতে হয়। এই জন্যই হাদিসে মুখের নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
চোখের গুনাহও জবানের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়; বরং এর প্রভাব আরো ব্যাপক। কু-দৃষ্টির কারণে অন্তরে দানা বাঁধে নানান রোগ। ইবাদতের স্বাদ কমে যাওয়া, স্মরণশক্তি হ্রাস পাওয়া, চেহারায় গুনাহের ছাপ পড়ে যাওয়া, শারীরিক বিকারগ্রস্ততা—এর সবই সৃষ্টি হয় কু-দৃষ্টির প্রভাবে। তাই চোখ ও মুখের সাহায্যে অন্তরে গুনাহের প্রবেশ ঠেকাতে এই বইটি হতে পারে আপনার বিশ্বস্ত প্রহরী।
হযরত মুফতী রশীদ আহমদ লুধিয়ানভী (রহ.)
রশিদ আহমদ লুধিয়ানভি
পাকিস্তানি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত।(২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২ — ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০২) তিনি একজন দেওবন্দি পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত ও ফকিহ ছিলেন। তিনি করাচিতে জামিয়াতুর রশিদ ও আল রশিদ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি আহসানুল ফতওয়ার রচয়িতা। তিনি জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের পাঞ্জাব প্রদেশের সভাপতি এবং দারুল উলূম করাচীর দারুল ইফতা ওয়াল ইরশাদের প্রধান ছিলেন।
তিনি মদিনাতুল উলুম, হায়দরাবাদ, জামিয়া দারুল হুদা থেরি, দারুল উলুম করাচি এবং দারুল ইফতা ওয়াল ইরশাদ সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় চল্লিশ বছর অধ্যাপনা করেছেন। তিনি এইড অর্গানাইজেশন অব দ্য ওলামা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের (ফ) পাঞ্জাব প্রদেশের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।