বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ লক্ষ তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করেন, এর মাত্র ৬ পার্সেন্ট প্রতিবছর সরকারি চাকরিতে যোগদানের সুযোগ পান এবং ১-২ পার্সেন্ট উচ্চশিক্ষা ও বিদেশে উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছাড়েন। ফলে বাকি ৯২ পার্সেন্ট তরুণই বেসরকারি সেক্টরের কোনো চাকরিতে যোগদান করছেন এবং কিছুসংখ্যক তরুণ উদ্যোক্তা হচ্ছেন, আর উদ্যোক্তা হয়ে সফল হওয়ার সংখ্যাটা আবার সরকারি চাকরি পাওয়ায় সফল হওয়ার চেয়েও কম, কারণ পরিস্থিতি ও জনসাধারণের দৃষ্টিভঙ্গিগত কারণে বাংলাদেশ উদ্যোক্তাবান্ধব দেশ নয়। এই বেসরকারি সেক্টরেও ভালো পদের চাকরিগুলোর পদসংখ্যা একদম সীমিত। বেসরকারি সেক্টরে আছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান। আর বেসরকারি সেক্টর সম্পর্কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের জ্ঞান একদম সীমিত ও শূন্যের কোঠায়। তাই দেখা যায় সরকারি চাকরিতে সফল না হলে তারা এ সেক্টর সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞানের অভাবে এখানেও হোঁচট খান এবং মনমতো চাকরিটা পান না, কারণ তারা এ সেক্টরের জন্য চাকরির প্রস্তুতি নেননি। এ সেক্টরের জন্য চাকরির প্রস্তুতি নিতে হয় নিজের বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন করার মাধ্যমে। তাই যেহেতু স্নাতকে পড়াকালীন সময়টা একটা ব্যাপক সময়, এই সময়টাতে সরকারি চাকরির পাশাপাশি বেসরকারি চাকরির প্রস্তুতিও নেওয়া দরকার। কিন্তু সেটা কীভাবে?
কী কী বিষয় আছে এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে? হ্যাঁ, সেসব নিয়েই লেখা হয়েছে এই ❝জব হ্যাকস❞ বইটি। গ্রন্থকার তার নিজের অভিজ্ঞতা ও এ সেক্টরের এক্সপার্টদের পরামর্শ একত্রে করে লিখেছেন অনন্য এই গাইডবুকটি। এতে বেসরকারি সেক্টরের চাকরির এ-টু-জেড খুঁটিনাটি সবকিছু তুলে ধরা হয়েছে।
🖊️ বইটির অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য :
• বইটি প্রাইভেট চাকরিপ্রত্যাশীদের বেসরকারি চাকরির বাজার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেবে।
• এতে দেওয়া তথ্য ও পরামর্শগুলো একজন চাকরিপ্রত্যাশীকে চাকরির বাজারের বিষয়বস্তুগুলোর প্রতি চৌকস করে তুলবে।
• এতে তুলে ধরা আপডেট বিষয়গুলো একজন আপডেট চাকরিপ্রত্যাশীকে নিজের ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নিয়ে নিজেকে দ্রুত সফল হওয়ার মতো একজন যোগ্য প্রার্থী করে তুলতে সহায়ক হবে।
• বইটি চাকরিপ্রত্যাশীদেরকে চাকরির বাজারের হ্যাসেলগুলো ট্যাকেল করতে এবং সময় বাঁচানোর কৌশল শিখতে সহায়ক হবে।
• বইটি একজন চাকরিপ্রার্থীর মানসিক শক্তি উন্নত করতে সহায়ক হবে।
• চাকরির বাজারের ভুয়া ও প্রতারক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন করে সময় ও শ্রম দেওয়া থেকে একজন চাকরিপ্রার্থীকে বিরত রেখে সময়-অর্থ-শ্রম বাঁচাতে সহায়ক হবে।