কিন্তু রফিকের জীবন দুটো। এক জীবন থেকে আর এক জীবনে সে অবলীলায় ঢুকে পড়েছে। যেন ঢাকা থেকে বাসে চেপে ফরিদপুর চলে গেল। নতুন জীবনে তার জন্য শারমিন আছে।
শারমিন হলো রফিকের প্রথম প্রেম, যে বিয়ে করে আমেরিকা চলে যায়। তারপর আর রফিকের সাথে যোগাযোগ নেই।
কিন্তু নতুন যে জীবনে রফিক ঢুকে পড়েছে, সে জীবনে শারমিন তার বিয়ে করা বউ।
এর ব্যাখ্যা করা সম্ভব? প্যারালাল উইনিভার্স কি ব্যাখ্যা করা যায়? যদি যেত, তাহলে পৃথিবীর সব লোক বিভিন্ন মাত্রায় ঘুরে বেড়াত। তারপর ইচ্ছে মতো একটা জীবনে গিয়ে থিতু হতো।
সেই পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষই হতো তার স্বপ্নের সমান বড়। নিজেকে যে জায়গায় সে দেখতে চায়, সেই জায়গায় গিয়ে থামত।
‘জীবন অপেরা’ সেই অসম্ভব জীবনের গল্প। মিষ্টি প্রেম আর হাহাকারের উপন্যাস— যে জীবন যাপন করা হয়নি সেই জীবনের উইশফুল থিংকিং।
আলভী আহমেদ
আলভী আহমেদ একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক এবং অনুবাদক। তিনি বাংলাদেশী টেলিভিশন মিডিয়ায় প্রায় ১০০ এর কাছাকাছি ধারাবাহিক নাটক ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের নাটক এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার পরিচালিত চলচ্চিত্র ইউটার্ন চলচ্চিত্রটি ২০১৫ সালে দেশজুড়ে ৮০টির বেশি সিনেমা হলে মুক্তি পায়।তিনি প্রখ্যাত জাপানি কথাসাহিত্যিক হারুকি মুরাকামির কিছু গল্প ও উপন্যাস বাংলায় অনুবাদ করেছেন—'নরওয়েজিয়ান উড', 'হিয়ার দ্য উইন্ড সিং' এবং 'পিনবল, ১৯৭৩'। বইগুলো বাতিঘর থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তিনটি উপন্যাস অনুবাদ করেছেন তার অনুবাদে প্রকাশিত হয়েছে, মুরাকামির গল্প সংকলন, 'কনফেশনস অব আ সিনেগাওয়া মাংকি'। এছাড়াও তার মৌলিক উপন্যাস জীবন অপেরা ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়। ১১ জন নি:সঙ্গ মানুষকে নিয়ে লেখা 'ব্লাইন্ড স্পট' তার প্রথম গল্পগ্রন্থ। ইংরেজিতে লেখা তার পেপারব্যাক গল্পগ্রন্থ 'ঢাকা ড্রিমস' অ্যামাজনে ফিকশন বেস্ট সেলার ক্যাটাগরিতে শীর্ষে ছিল তিন সপ্তাহ।