ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ * এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ইমরান কবিতাকে ভালোবেসে যদি অপরাধ না-ই বা করল, তাহলে তাকে জেল খাটতে হলো কেন? সমাজের ব্যবধান যদি এতটাই প্রকট, তাহলে কবিতাকে বাঁচাতে ইমরান কেন নিজের জীবন জীবনটা বিসর্জন দিল? বিধবা জাহেরা বেগম ছেলেমেয়েকে হারিয়ে যে হতাশাচ্ছন্ন একাকী জীবন কাটালেন, তার খবরন কি কেউ রেখেছে? পৃথিভীটা বড় ব্যস্ত মোটেও মনে পড়েনি। সংসারের ঝামেলায় চঞ্চলমতি কবিতা স্থির হয়ে গেলেও, গুনি মিয়ার চায়ের দোকান ও গুনি মিয়াকে ভুলে যায়নি সে। পৃথিবীর বয়স বাড়ার সাথে সাথে মৃত মানুষের সংখ্যাও বাড়ে । কালের আবর্তে চেনামুখ হারিয়ে গেলেও নতুন মুখ হাল ধরে পৃথিবীর। মানুষ যখন নিজের আদি অন্ত খুঁজতে গিয়ে সাধনা-নিবিষ্ট হয় তখন সে ধীরে ধীরে আধ্যান্তিক সাধনার অকূল সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এবং পরিশেষে স্রষ্টার কাছে তা মাথাটা নত করে দেয়।