জন্ম ৩ মে ১৯২৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামে। তিনি কলকাতার লেডি ব্রেবাের্ন কলেজ থেকে বি.এ. ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম.এ. পাশ করেন। ১৯৬০ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণীতে বি.এড. ডিগ্রি অর্জন করেন। ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সানডিয়াগাে স্টেট কলেজ থেকে ১৯৬৪ সালে ‘সার্টিফিকেট-ইন-এডুকেশন’ ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষিকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী গার্লস হাই স্কুলে। ঢাকায় সিদ্ধেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন ৮ বছর। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত ২ বছর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অধ্যাপিকা হিসেবে চাকরি করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা ইনস্টিটিউটে খণ্ডকালীন প্রভাষক ছিলেন। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন। খেলাধুলা, নাটক, সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন সমিতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। খাওয়াতীন’ নামে মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। দৈনিক বাংলায় কলাম লিখতেন। পৃথিবীর বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন।
বাবা : সৈয়দ আব্দুল আলী ব্রিটিশ সরকারের অধীনে ‘বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা সাব-ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট
মা : সৈয়দা হামিদা আলী।
স্বামী : শরীফ ইমাম, প্রকৌশলী
পুত্র : শহীদ মুক্তিযােদ্ধা শাফী ইমাম রুমী সাইফ ইমাম জামী।
এই মহীয়সী নারী ২৬ জুন ১৯৯৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। পুরস্কার : বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ সাহিত্য পুরস্কার-১৯৮৭, কমর মুশতরী সাহিত্য পুরস্কার-১৯৮৮, বাংলা একাডেমী সাহিত্য। পুরস্কার-১৯৯১, নারী গ্রন্থ প্রবর্তনা-১৯৯৪ (ক্রেস্ট), আজকের কাগজ-১৯৯৪ (পদক), গুণীজন সম্মাননা-১৯৯৪ কারমাইকেল। কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ-১৯৯৫ (ক্রেস্ট), স্বাধীনতা পদক-১৯৯৭, বেগম রােকেয়া পদক-১৯৯৮, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-২০০১, ইউনিভার্সাল শিল্পগােষ্ঠী-২০০১ (ক্রেস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ-২০১১ (ক্রেস্ট) লাভ করেন।