শিশুসাহিত্যের সকল শাখায় সমান স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। চ্যানেল আইতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনুষ্ঠান বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরত। বাংলা একাডেমীর ফেলো, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্থাপনা-সদস্য।
ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ এই মুহূর্তে আমাদের দেশের শিশুসাহিত্যে অল্প যে কজন লেখক পূর্ণমাত্রায় সক্রিয় আছেন আমীরুল ইসলাম তাদের একজন। ছড়া রচনায় তাঁর সহজাত ক্ষমতা সর্বজনবিদিত। প্রায় সাড়ে তিনহাজার ছড়া লিখেছেন। ছড়ার বিষয়বস্তু, ছন্দ আঙ্গিক নিয়ে নিরন্তর নিরীক্ষাপ্রবণ আমীরুল ইসলাম। তাঁর ছড়া বুদ্ধিদীপ্ত, সংযমী, দ্যুতিময় এবং লক্ষ্যভেদী। তার কোনো ছড়াই চারিত্র্য ক্ষুন্ন করে না। তাঁর প্রতিটা ছড়ার বই নামকরণ থেকে শুরু করে ভিন্নমাত্রিক। এই বইও তার ব্যতিক্রম নয়। আমীরুল ইসলামের ছড়া চিরকালীন কিনা পরের কালের পাঠক বিচার করবেন। তবে তার ছড়াগুলো যে চরিত্রবান অল্পদিনে ফুরিয়ে যাবার নয়, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।
আমীরুল ইসলাম
জন্ম ৭ এপ্রিল ১৯৬৪, লালবাগ, ঢাকা। পিতা প্রয়াত সাইফুর রহমান। মাতা প্রয়াত আনজিরা খাতুন। পিতৃব্য প্রয়াত কবি হাবীবুর রহমান, খ্যাতনামা শিশুসাহিত্যিক। শিশুসাহিত্যের সকল মাধ্যমে স্বচ্ছন্দ। ২০০৬-এ পেয়েছেন বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার। সবচেয়ে কম বয়সে ‘খামখেয়ালি’ ছড়াগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন শিশু একাডেমির অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার। সিকান্দার আবু জাফর সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৪), নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার (২০০৩), পদক্ষেপ সাহিত্য পুরস্কার (২০০৫), ছােটদের পত্রিকা পুরস্কারও (২০০৭) পেয়েছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৫০টির অধিক। সবই শিশুসাহিত্য। দেশের খ্যাতিমান সকল প্রকশনা সংস্থা থেকে এক বা একাধিক বই প্রকাশ পেয়েছে। দশ বছর সম্পাদক ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত কিশাের-তরুণদের উৎকর্ষধর্মী মাসিক ‘আসন্ন’র। অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলার ছােটদের প্রথম চার রঙের কিশােরদের পাতা সম্পাদনা করেছেন পাঁচ বছর। চ্যানেল আই-তে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনুষ্ঠান বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে সিনিয়র প্রােগ্রাম ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত। সাপ্তাহিক'এর প্রকাশকও তিনি। কৌতুকপ্রিয়, আডডাবাজ, জীবন রসিক, ভােজকপ্রিয় আমীরুল ইসলাম পৃথিবীর অধিকাংশ বিখ্যাত শহর ঘুরেছেন। পুরনাে বই ও চিত্রকলা সংগ্রহ করে থাকেন । প্রিয় সখ বইপড়া, দাবা খেলা, গান শােনা।