ঐশী অনীকের কাঁধে আলতো হাত রাখে। বলে, ‘তুমি না সৈনিক। এত সহজে ভেঙে পড়লে হবে! বি ব্রেভ ম্যান, বি স্টেডি! তুমি এখনও হয়তো তোমার শ্রেষ্ঠ শ্রমটুকু দাওনি, সাফল্যের সঠিক দরজায় করাঘাত করোনি, গোলাপ ফোটাতে গেলে কাঁটার খোঁচা সইতে হয় অনীক। মামুলি ঘাসফুল বা ভাঁটফুলের দেখা অনেকেই পায়, ওসব বারোয়ারি ব্যাপার। নীলকমল সবার জন্য নয়, অনীক। তোমাকে আরো বেশি ছুটতে হবে, তবেই তুমি গোলপোস্টের দেখা পাবে। আর সাফল্য মানে শুধু নিজের উৎকর্ষ নয়, বরং সবাইকে নিয়ে মনের আনন্দে একত্রে বাঁচতে হয়। জীবিকা ও জীবন যে এককথা নয়, তাও তোমাকে বুঝতে হবে। সত্যি বলতে, সাকসেস মিনস পিস অব মাইন্ড। যার মনে আনন্দ নেই, শরীর সুস্থ নয়, দিনশেষে সমস্ত অর্জন-- সবকিছুই তার কাছে অর্থহীন।’
‘যেভাবে জয়ী হতে হয়’ আদতে রাতারাতি অর্থোপার্জন বা সাফল্য পাবার কোনো টোটকা নয়, বরং এখানে এমন কিছু গাইডলাইনস তুলে ধরা হয়েছে যা কিনা জীবনের অনুগামী হতে পারে। শারীরিক সুস্থতা থেকে শুরু করে পারিবারিক ও চাকরিজীবনে উৎকর্ষলাভে অনুসরণীয় রীতিনীতির কথা গল্পকারে বলা হয়েছে। আছে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স, এম্প্যাথি, পারসোনাল ব্র্যান্ডিংসহ নানান অনুষঙ্গ। ঐশী আর অনীকের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে তোমরা পুরো বইজুড়ে জানবে বাস্তবানুগ ও শিক্ষণীয় কিছু বিষয়, যা কিনা তোমাদের অনাগত জীবনকে অনেকখানি সমৃদ্ধ করবে বলে ধারণা করা যায়।
অরুণ কুমার বিশ্বাস
অরুণ কুমার বিশ্বাসের জন্ম ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ গােপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায় জহরের কান্দি গ্রামে। এসএসসি ইস্ট কোটালীপাড়া ইউনিয়ন হাই স্কুল, ১৯৯৩। এইচ,এস,সি নটরডেম কলেজ, ঢাকা, ১৯৯৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে সম্মানসহ এম এ, ২০০১। মেধার স্বীকৃতি হিসেবে নটরডেম কলেজ থেকে পেয়েছেন অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স। শুল্ক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার এই লেখক সম্প্রতি ইংল্যান্ডের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লন্ডন মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিউম্যান রিসাের্স ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স ডিগ্রী (পাস উইদ মেরিট) অর্জন করেন। ব্র্যান্ড একুইটি মডিউলে পান ডিসটিশন নম্বর। কলেজে পড়ার সময় থেকে নিয়মিত লিখছেন। ছড়া, কবিতা, ছােটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, গােয়েন্দা কাহিনী । উল্লেখ্য, কিশাের উপন্যাসে তিনি বিশেষ স্বচ্ছন্দ। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পঁচিশ বলতে গেলে পাড় পাঠক তিনি। বিশ্বসাহিত্যের সকল ভাষা ও শাখায় বিচরণ করে অমিত আনন্দ পান। গর্সিয়া মার্কেজ থেকে দস্তয়েভস্কি, এরিস্টটল থেকে স্টিফেন হকিংস, তদুপরি বাংলা সাহিত্যের অফুরান রসভাণ্ডার তাকে সারাক্ষণ আবিষ্ট করে রাখে। তিনি লিখতে ভালবাসেন, তবে পাঠের আনন্দ অবিমিশ্র, অসীম।ভ্রমণ তার প্রিয় শখ, খানিকটা নেশার মতাে। নতুন দেশ, নতুন মানুষ তার গবেষণার বিষয়। ভ্রমণ করেছেন ইংল্যান্ড, ওয়েলস, দুবাই ও সাউথ আফ্রিকা। জীবনটাকে স্রেফ সরাইখানা মেনে কোথাও শেকড় গেড়ে থিতু হবার বাসনা নেই একদম । এমনি করে যায় যদি দিন যাক না!