ফেসবুকে জেসমিনের লেখার সবচেয়ে বড়ো ফ্যান শ্যামল নামের এক সুদর্শন যুবক। একদিন বইমেলায় শ্যামল জেসমিনের সঙ্গে দেখা করে, তার বইয়ের অটোগ্রাফ নেয়। আরেকদিন শ্যামল জেসমিনকে বইমেলা প্রাঙ্গণে চায়ের নিমন্ত্রণ করে। এভাবে ধীরে ধীরে শ্যামল নিঃসঙ্গ জেসমিনের ভক্ত থেকে বন্ধু আর বন্ধু থেকে প্রেমিকে পরিণত হয়। জেসমিনের বিশ্বাস অর্জন করবার পর একদিন শ্যামল তার অফিসে জেসমিনকে একটা কাজে ডেকে নেয়। তারপর হঠাৎ করেই জেসমিনের শ্লীলতাহানি করে। অত্যাচারের এক পর্যায় জেসমিনের মনে হচ্ছিল শ্যামল ওকে মেরে ফেলবে। বাধ্য হয়ে হাতের কাছে থাকা একটা ভারী বস্তু দিয়ে সে শ্যামলের মাথায় আঘাত করে। তীব্র আঘাতে সঙ্গে সঙ্গেই বিছানায় নিথর হয়ে লুটিয়ে পড়ে শ্যামল। পুরো ঘটনায় হতভম্ব জেসমিন ভীষণ আতঙ্কে শ্যামলের অফিস থেকে বেরিয়ে আসে। সঙ্গে নিয়ে আসে শ্যামলের মোবাইল ফোনটি। কিন্তু ওইদিন রাত থেকে ঘটতে আরম্ভ করে একের পর এক রহস্যজনক ঘটনা। জেসমিন বুঝতে পারছে কে বা কারা শ্যামল হত্যার ভয়ংকর প্রতিশোধ নিতে চাইছে।
জেসমিন কি পারবে এদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে? আর জেসমিন পুলিশকে-ই-বা সব কিছু খুলে বলছে না কেন?