মানুষ যে কয়েকটি অধ্যায় অতিক্রম করে জীবন পাড়ি দেয়, তার মাঝে সর্ব-উৎকৃষ্ট সময় হলোবতারুণ্যের প্রাণচাঞ্চল সময়। মানুষ তার জীবনের সর্বসুখ খুঁজে পায় এই সময়েই। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, প্রিয়তম-প্রিয়তমা ইত্যাদি মায়ার বাঁধান তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখে সারাক্ষণ। শক্তি, বুদ্ধিমত্তা টইটম্বুর থাকে দেহ-মনজুড়ে। মোদ্দাকথা আত্মিক, মানসিক, শারীরিক সকল প্রকার নেয়ামতে হাবুডুবু খাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তারুণ্য।
এক সময় যে মুসলিম তরুণরা প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য দাপিয়ে বেড়িয়েছে, যারা ইউরোপের অলি-গলি চষে বেড়িয়েছে, যারা আফ্রিকার তপ্ত সাহারায় খিমা গেড়ে ইসলাম প্রচার করেছে, যারা জলে-স্থলে ছুটে চলেছে এলাহী বাণী নিয়ে নিদারুণভাবে, যারা দীপ-দীপান্তর সর্বত্র অকুতোভয় কালিমার আহ্বান পৌঁছিয়েছে, যারা লোকালয় থেকে গিরিপথ নির্দ্বিধায় ইসলাম নিয়ে ছুটে চলেছে, তারাই আজ অন্যের দাওয়াতে প্রভাবিত হয়ে নিজের দ্বীনকে ভুলে বসেছে। তারাই আজ দুনিয়ার হীন স্বার্থের লালসায় ধর্মীয় মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে।
তাই পথভুলা তরুণদের সুপথে ফিরিয়ে আনতে, বিকৃত সমাজব্যবস্থা পরিশুদ্ধ করতে, জাতির ক্রান্তিলগ্নে মুসলিম মিল্লাতের হাল ধরাতে একদল তরুণ প্রয়োজন, যারা হতাশা ও নৈরাজ্যের সাগরে হাবুডুবু খাওয়া মানুষের প্রাণকর্তা হবে। যারা তপ্ত মরুর দিকহারা পথিকের ত্রাণকর্তা হবে। যারা উত্তাল তরঙ্গে নিমজ্জিত জাতির বাঁচার সম্বল হবে। যারা দিকহারা জাতির কান্ডারি হবে।