কুলদা রায় একজন বিপজ্জনক ব্যক্তি। এই জন্য নয়, যে, তিনি বিপজ্জনক কিছু লেখেন। আসল বিপদ তাঁর দেখার ভঙ্গীতে। কত লোকে কত ভাবে দেখে। কেউ আড়চোখে, কেউ সোজাসুজি। কারও দৃষ্টি ঘোরালো, কেউ চোখ পাকিয়ে তাকায়। কেউ কটাক্ষ করে, কেউ রাখে নজরবন্দী। কিন্তু দেখে একই জিনিস। কুলদা রায় এর মধ্যে থেকে এমন কিছু দেখে ফেলবেন, যা ব্যাকরণে নেই। এ কথা সক্কলে জানে, যে, সুচিত্রা সেনকে যখন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হল, তখনতিনি লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেছেন। কাউকে দেখা দিচ্ছেন না। শোনা যায়, সুচিত্রা সেন তার দরজার নিচে দিয়ে একটি চিরকুট পাঠিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, না, তিনি এ পুরস্কারটি নিতে পারেন না। সুচিত্রা সেন সেজে থাকতে তার আর ভালো লাগছে না। ফিনিস। এখান থেকে কুলদা রায় প্রত্যক্ষ করেন, যে, উনি আসলে সুচিত্রা সেন নন। সেজে ছিলেন মাত্র। আসল সুচিত্রা সেন তবে কোথায়? জানার জন্য কুলদার লেখা গল্প পড়তে হবে। তাতে যাই থাক, মোদ্দা কথা এই, যে, সেটা আম পাবলিকের নজরে পড়ে নি। কুলদা বাংলায় গল্প লেখেন। কুলদার বিপজ্জনক দৃষ্টির কারণে, সে গল্প ভারত না বাংলাদেশের, বোঝা ক্রমশ দুষ্কর হয়ে যায়। তার মধ্যে আবার দুমদাম ঢুকে পড়ে ফেসবুক।
কুলদা রায়
Title :
যে সুচিত্রা সেন কিডন্যাপ হয়েছিলেন (হার্ডকভার)