যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা (হার্ডকভার)
মাওলানা আশরাফ আলী সাহেব থানবীর ‘নশরুত তীব ফি যিক্রিন্নাবীয়্যীন হাবিব (সা.)’ কিতাবে এক হাদীসের উদ্ধৃতি দেয়া আছে এইভাবে: “হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত একটি সুদীর্ঘ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহ পাক একবার মূসা (আ.)-কে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ করলেন, তুমি বনি ইসরাঈলদের জানিয়ে দাও যে, যে ব্যক্তি আহমদ (সা.)-এর প্রতি অবিশ্বাসী অবস্থায় আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, সে যেই হোক আমি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবো। হযরত মুসা (আ.) আরজ করলেন, আহমদ কে? আল্লাহ পাক ইরশাদ করলেনঃ হে মুসা! আমার ইজ্জত ও গৌরবের শপথ! আমি সমস্ত সৃষ্টি জগতের মধ্যে তাঁর চেয়ে অধিক সম্মানিত কাউকে সৃষ্টি করিনি। আমি তাঁর নাম আরশের মধ্যে আমার নামের সাথে আসমান ও যমীন এবং চন্দ্র ও সূর্য সৃষ্টির বিশ লক্ষ বৎসর পূর্বে লিপিবদ্ধ করেছি। আমার ইজ্জত ও গৌরবের শপথ, আমার মাখলুকের জন্য জান্নাত হারাম যতক্ষণ পর্যন্ত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর উম্মত জান্নাতে প্রবেশ না করবে। অতঃপর মূসা (আ.) আরজ করলেন, হে আল্লাহ আমাকে সেই উম্মতের নবী বানিয়ে দাও। আল্লাহ পাক ইরশাদ করলেন, সেই উম্মতের নবী তাদের মধ্যে থেকেই হবে। মূসা (আ.) পুনরায় আরজ করলেন, তবে আমাকে সেই নবীর এক উম্মত বানিয়ে দাও। আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করলেন, তুমি তাঁর পূর্বেই নবীরূপে আবির্ভূত হয়েছ। আর সেই নবী তোমার পরে প্রেরিত হবেন। তবে জান্নাতে তাঁর সঙ্গে তোমাকে একত্রিত করে দেব। (হুলিয়া)