ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ জাতীয় নির্বাচন ২০০৮ গ্রন্থটি পত্রপত্রিকায় সংবাদ ও মন্তব্য নির্ভর করে প্রস্তুত হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮-এর নির্বাচন যে স্বচ্ছতা নিরপেক্ষতা তুলে ধরেছে তা এক বিশেষ অধ্যায় হয়ে থাকবে আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে। অনেক ঘটনাবহুল এই নির্বাচন। অনেক প্রতীক্ষা আর আকাঙ্ক্ষিত ছির এই নির্বাচন। ২০০১ সালের নির্বাচনে যে প্রভাব বিস্তার, ক্ষমতার অপব্যবহার, কারচুপি ও ফলাফল ছিনিয়ে নেবার ষড়যন্ত্র আমরা দেখেছি তা এবার ঘটেনি। অর্থ ও অস্ত্র পর্যন্ত মার খেয়েছে জনসচেতনার প্রতিরোধে। নির্বাচন কমিশন যে স্বামী হলে আন্তরিকভাবে সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেটা এবার প্রমাণিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা মানুষ এবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে সক্ষম হয়েছে। নিজের ভোট নিজের পছন্দমতো দেবার সাহস অর্জন করেছে। এই সাহস তাকে ভবিষ্যতে শক্তি যোগাবে। এবার নির্বাচনকে সফল করার পেছনে মিডিয়ার একটা প্রধান ভূমিকা ছিল্ ১১ জানুয়ারি ২০০৭ সালে নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশে যৌথবাহিনী দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও সন্ত্রাসী নামধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ, রাজনৈতিকদের গ্রেফতার, রিমাণ্ড নির্যাতন ও বিশেষ আদালতে মামলা পরিচালনা করে দণ্ড দেয়। মাইনাস ফর্মুলায় মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপূর্ণ মামলা দায়ের করে বঙ্গবন্ধু-কন্যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেছে যা পরবর্তীতে মামলা দায়েরকারী দ্বারা পরিস্থিতির কারণে বলে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে আমরা সেই আতঙ্কজনক মূহুর্তে জননেত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে সবসময় উচ্চারিত হতে দেখেছি, ‘দ্রুত নির্বাচন চাই’। তাঁর বিশ্বাস ছিল, কেবলমাত্র একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পারে দেশে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে। শান্তি ও স্থিতিশীলতা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। নির্বাচনে মানুষ এবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদান করে শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা, সততা ও কল্যাণকামী চেতানার প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করে এক প্রচণ্ডরকম সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। দেশে একটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই সকলের প্রত্যাশা।
এ গ্রন্থটি প্রস্তুত করে সাপ্তাহিক বিচিত্রা সম্পাদক বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ রেহানা একটি উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর আন্তরিকতা ও শ্রম অবশ্যই প্রশংসনীয়।