ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ জানা-না-জানা বিশ্বকে জানার জন্য সঙ্গিবিহীনভাবে বিশ্ব ভ্রমনের সিন্ধান্ত নেই। আরবদেশের প্রতি প্রচণ্ড আকর্ষণের কারণেই আমি দুবাই থেকে ভ্রমণ করি। সেখান থেকে পৃথিবীর সবগুলো মহাদেশ ভ্রমণ। এই বইটিতে তার মধ্য থেকে বিশেষ কয়েকটি দেশের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থান দর্শন করতে করতে প্রবেশ করলাম বাদুরের গুহাতে। বাদুড়ের গুহার প্রবেশপথেই একটি ধাক্কা খেলাম।সরুপথ এবং ভীষণ অন্ধকার। সাহস করে গুহাতে প্রবেশ করলাম। দেখলাম পঁচিশ হাজার বাদুড়। একটাকে ঢিল দিয়ে মাটিতে ফেলা হলো এবং খুব কাছ থেকে বাদুড় দেখতে পেলাম। এবার বের হওয়ার পালা। যে রাস্তা দিয়ে এসেছি সে রাস্তা দিয়ে বের হওয়া ভালো ছিল কিন্তু আমি অন্যপথে যাবার সিন্ধান্ত নিলাম। আমার জানা-না-জানা চলার পথে ওটাই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। গুহার ঐ পথটা ছির অনেকটা পাথরের রাস্তায় উর্ধ্বগমনের মতো। ওখানে গেলে ফেরার যে কোনো পথ নেই তা আমার জানা ছিল না।জানা ছিল না যে পথ পিচ্ছিল, শ্যাওলাযুক্ত আর বিপজ্জনক। কোথাও কিছু লেখাও ছিল না। আমি মাঝপথে গিয়ে আটকে পড়লাম; ওপরে ওঠার পাথরে আমার পা নাগাল পাচ্ছিলো না, নিচে নামতে পারছি না! দাঁড়াবারও কোনো জায়গা নেই। আমার কান্নার প্রতিধ্বনিতে গুহা ভরে গেল, এবার মোহনের চিৎকারও তার সাথে যুক্ত হল-‘মেরা ভগবান উসকো বাঁচলো, ও হামারা ভগবান হে! বাঁচালো উসকো বাঁচালো।’