আমাদের দেশে যেভাবে উৎসব করে গণিত অলিম্পিয়াড সহ অন্যান্য বিষয়ের অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয় তা আমার জানা মতে আর কোন দেশে হয় না। দেশে মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থায় তেমন কোনো অগ্রগতি না থাকা সত্ত্বেও যে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ অল্প সময়ে উল্লেখযোগ্য গুণগত পরিবর্তন ঘটেছে তার পেছনে এসব অলিম্পিয়াডের ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান বইটিও সেই ধারাবাহিকতার একটি নিদর্শন। এতে বিন্দু থেকে শুরু করে কোণ, সর্বসমতা, সদৃশতা ও ক্ষেত্রফলের মত বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে যা প্রথাগতভাবে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণিসমূহে আলোচিত হয়ে থাকে। কিন্তু প্রচলিত পাঠ্যপুস্তুক থেকে এ বইটির উপস্থাপনা ভিন্নতর। এখানে প্রায় প্রতিটি বিষয় আলোচিত হয়েছে কোনো না কোনো সমস্যার সূত্র ধরে সমাধানের আলোকে। ফলে শিক্ষার্থীরা উল্লিখিত জ্যামিতিক ধারণাসমূহ শুধু শেখার জন্যই শিখবে না, বরং সেগুলোকে আত্মস্থ করতে পারবে বাস্তব সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হিসেবে। জ্যামিতি চর্চার ক্ষেত্রে মূলত দুটি ধারা বিদ্যমান : একটি হলো বিশ্লেষণী ধারা যেটি গাণিতিক বিমূর্ত নীতিগুলো ব্যবহার করে মাপজোখ সংক্রান্ত হিসাব করে; অপরটি হল বর্ণনামূলক ধারা যেটি ঐ বিমূর্ত নীতিগুলোর যৌক্তিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ-প্রমাণসংক্রান্ত বিষয়গুলিকে মাপজোখ অপেক্ষা অধিক গুরুত্ব দেয়। আমাদের দেশের মূলধারার জ্যামিতি শিক্ষায় (মাধ্যমিক পর্যন্ত) রয়েছে বর্ণনামূলক ধারার প্রাধান্য, আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডেও সেই ধারাটি মূখ্য। কিন্তু অন্যান্য বিভিন্ন গণিত প্রতিযােগিতায়, দেশের ইংরেজি মাধ্যমের জ্যামিতি শিক্ষায়.
দিপু সরকার
দিপু সরকার ১৯৯২ সালের ১৭ই মার্চ ঢাকায়। জন্মগ্রহণ করেন, পৈতৃক নিবাস। পিরােজপুর জেলার বিন্না গ্রামে। . এইচ. কে. সরকার ও মৃদুলা রাণী সরকারের বড় ছেলে তিনি। তিনি ও তার ভাই সবুজ সরকার বেড়ে ওঠেন বরিশাল। শহরে । বরিশাল জিলা স্কুল থেকে ২০০৭ সালে। এস. এস. সি. ও অমৃতলাল দে কলেজ থেকে ২০০৯ সালে এইচ. এস. সি. পাস করেন।। এরপর বাংলাদেশ প্রকোশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। (CSE) বিষয়ে থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ছােট বেলা থেকেই তিনি গণিত ও বিজ্ঞানের প্রতি। আগ্রহী। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ গণিত। অলিম্পিয়াড টিমের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া ২০১০ সালে থেকেই বরিশালে ADO Science Club এর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনুপম পাল
অনুপম পাল ১৯৯১ সালের ১৩ই জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার উনসত্তর। | পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রতন কুমার পাল এবং উষা পালের বড় সন্তান। চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে তিনি ২০০৭ সালে এস.এস.সি এবং ২০০৯ সালে এইচ এস. সি. পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। গণিতের প্রতি আগ্রহ ও ভালবাসা থেকেই তিনি। মূলত লেখালেখি করেন। অবসরে তিনি খেলাধুলা। ও ঘােরাঘুরি করতে পছন্দ করেন।