বিশাল বড়ো মাছের পিঠে গড়ে ওঠা অদ্ভুত এক নগরী, যেন জীবন্ত দুঃস্বপ্ন। কেউ জানে না কোথা থেকে এলো, কেনই-বা রয়ে গেছে? রাত গভীর হলে এখানে হঠাৎ কেউ হারিয়ে যায়, বাতাসে মিশে যায় তার অস্তিত্ব। কারো চোখে ভেসে ওঠে মৃত্যুদূতের ছায়া। কেউ পালায় বাড়ি ছেড়ে, আবার কেউ ফিরে আসে পুরানো তাড়নায়, যেন কিছু একটা তাকে বেঁধে রেখেছে। এরই মাঝে আত্মঘাতী হয়ে ওঠা এক চরিত্র ছড়িয়ে দেয় সন্দেহের জাল। প্রতিটি অলিগলি, প্রতিটি ছায়ার তলে লুকিয়ে থাকে রহস্য আর ছলনার দ্যোতনা।
এই জনপদ কি তবে অতিপ্রাকৃতের ফাঁদ? নাকি নিছক মিথ, যা যুগ যুগ ধরে বেঁচে আছে মানুষের কল্পনায়?
জলজ লকার এমন এক উপন্যাস, যেখানে প্রতিটি মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে গভীর রহস্য। মিথ, ম্যাজিক রিয়েলিজম, নাকি নিছকই এক বিভ্রম ; এই উপন্যাসে সেই গন্তব্যের খোঁজে আপনাকে পা রাখতে হবে এমন এক জগতে, যেখানে সময় চেনা, তবুও অচেনা। আপনাকে হাঁটতে হবে সেই সময়ের পথে-অজানা রহস্যের গন্তব্য খুঁজে নিতে।
মাহরীন ফেরদৌস
মাহরীন ফেরদৌস, সাহিত্য চর্চার সাথে জড়িত আছেন ২০১০ সাল থেকে। বেশ কিছু বছর ‘একুয়া রেজিয়া’ নামের আড়ালে থেকেই প্রকাশ করেছেন নিজের গল্প, উপন্যাস। পেয়েছেন পাঠক-প্রিয়তা। ব্যবসায় শিক্ষা এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি নিয়ে পড়ালেখা করলেও বারবারই ফিরে এসেছেন সাহিত্যের কাছে। লিখেছেন গল্প, উপন্যাস, ফিচার ও ভ্রমণ। বর্তমানে আছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাসে। প্রকাশিত ছয়টি বইয়ের মধ্যে গল্পগ্রন্থ তিনটি ‘নগরের বিস্মৃত আঁধারে’, ‘কাকতাড়ুয়ার আকাশ’ ও ‘গল্পগুলো বাড়ি গেছে’। উপন্যাসও তিনটি, ‘কিছু বিষাদ হোক পাখি’, ‘এই শহরে মেঘেরা একা’ ও ‘মনোসরণি’। ‘কাচবন্দি সিম্ফনি’ ২০১৯ এর বইমেলায় প্রকাশিত হতে যাওয়া নতুন গল্পগ্রন্থ, যার সুরেলা শব্দমালা হয়তো পাঠক মনে মোহময় সিম্ফনি এনে দিবে।