বাংলাদেশে প্রচলিত রাজনৈতিক বয়ানে অনেক ঐতিহাসিক বিষয়কেই ভুলভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। ইতিহাসের এই ভুল উপস্থাপনের একটা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। ভুল ইতহিাস চর্চা আমাদের রাজনৈতিক চিন্তাধারা আর আত্মপরিচয়ের পথকে কণ্টকাকীর্ণ করে রেখেছে। ইতহিাসের ওপরে এই আরোপিত ভুল চর্চার ফলাফল হয়েছে মারাত্মক। ইতিহাসের ভুল আর উদ্দেশ্য প্রণোদিত বয়ানের ফলেই বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি চর্চার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই ভুল ইতিহাস চর্চাকে অবাধে চলতে দিলে ইতিহাসের এই উদ্দেশ্যমূলক বয়ানই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সত্য বলে ধরে নেবে। ইতিহাসের ওপরে জমে থাকা ধুলোকালিকে যতটুকু পরিচ্ছন্ন করা যায়, ততই আমাদের জাতির মঙ্গল। ‘ইতিহাসের ধুলোকালি’ গ্রন্থ আমাদের ইতিহাসের গায়ে লেপ্টে থাকা ধুলোকালি ঝেড়ে পরিষ্কার করার একটা প্রয়াস।
পিনাকী ভট্টাচার্য
'৯০-এর ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মাঠ থেকে উঠে আসা যে কয়জন রাজনৈতিক কর্মী সমসাময়িক বাংলাদেশে আলােচিত লেখক হয়েছেন, পিনাকী ভট্টাচার্য তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সােভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে দিশা খুঁজে ফেরা পিনাকীর রয়েছে বিচিত্র সব রাজনৈতিক চিন্তা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার অভিজ্ঞতা। লেখালেখির বিষয় বহুবর্ণ ও বিচিত্র। দর্শন, ইতিহাস আর রাজনীতি পিনাকীর লেখালেখির প্রিয় বিষয়। সফল কর্পোরেট চিফ এক্সিকিউটিভ থেকে এখন লেখালেখি ছাড়াও নিজের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজে সময় দেন। একাদেমিয়া নামের একটি নিয়মিত পাঠচক্রের সভাপতি। বাংলাদেশের ফেইসবুকের লেখালেখির জগতে পিনাকী ভট্টাচার্য ইতিমধ্যেই নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। প্রশ্ন তুলতে ভালােবাসেন তিনি। নানা বিষয়ে বিস্ফোরক প্রশ্ন তুলে অনেক প্রচলিত বয়ানকে নড়বড়ে করে দেয়ার মতাে বিস্ময়কর দক্ষতা আছে পিনাকীর।