ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ সমকালীন মননশীল সাহিত্য ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সৈয়দ তোশারফ আলী একটি সুপরিচিত নাম। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে পাক-ভারত যুদ্ধ, যুদ্ধত্তর পূর্ববাংলার স্বাধিকার আন্দোলন, ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্নিঝড়, জ্বলোজচ্ছ্বাস ও সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের অসহযোগ আন্দোলন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিতকরণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর দেশের পুনর্গঠন সক্রিয় অংশগ্রহণ তার মানস গঠনে রেখেছে বিরাট ভূমিকা। তার শৈশব ও কৈশর কেটেছে দক্ষিণ বাংলার নদী-নালা, খাল-বিল পরিবেষ্টিত সবুজ শ্যামল গ্রামীণ পরিবেশে। শিক্ষা লাভ করেছেন বাগেরহাট, রাজশাহী ও ঢাকায়। উত্তর জনপদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির পাদপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতকোত্তর পর্বে অধ্যয়নরত অবস্থায় প্রখ্যাত সাংবাদিক মুহ: আসফ-উদ-দৌলা রেজার অনুপ্রেরণায় তিনি ১৯৭৬ খ্রিস্টব্দের আগস্টে দৈনিক ইত্তেফাকে যোগদান করেন। সম্পাদকীয় সহকারী, সহকারী সম্পাদক এবং ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সম্পাদক পদে দায়িত্বপালন শেষে ২০০৯ সালে তিনি ইত্তেফাক থেকে অবসর গ্রহণ করেন। স্কুল ও কলেজ জীবনে তিনি বক্তৃতা, বিতর্ক ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) আয়োজিত বক্তৃতা, বিতর্ক ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনটি বিষয়েই প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।তিনি রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য , সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্ম ও খেলাধুলাসহ বিচিত্র বিষয় নিয়ে লেখালেখিতে অভ্যস্ত। গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও কলাম লেকার পাশাপাশি তিনি অনুবাদেও সমান দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।তার রচিত, সম্পাদিত ও অনূদিত গ্রন্থের সংখ্যা বারোটির অধিক। এরমধ্যে নির্বাচিত রাজনৈতিক কলাম , শেখ মুজিব: একটি মূল্যায়ন, মুক্তির আলপনা, সমাজ ও রাজনীতি, বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার পিতা মরহুম সৈয়দ ওয়াজেদ আলী একজন চিকিৎসক ও সমাজসেবী ছিলেন। তার মাতা মরহুম সুলতানা রিজিয়া ছিলেন একজন বিদুষী মহিলা। তার স্ত্রী দিলরুবা আলী একজন সুগৃহিনী। তিনি সাপ্তাহিক রোববার - এর সম্পাদক ও ইংরেজী দৈনিক নিউনেশন পত্রিকার সম্পাদকীয় বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।