”ইতি তোমার মা” - বইটির ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ছোটদের জন্যও যাঁরা কলম ধরেছেন, তাঁদের মধ্যে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের নাম নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য । আরও উল্লেখ্য এই কারণে যে, কিশোর-রচনায় তিনি শুধু ঘটাননি, একই সঙ্গে ছোটদের . পরিবর্তনের কথাও ভেবেছেন । নিছক হাসিঠাট্টার উপাদান ছোটদের ক্ষেত্রে তাঁর উপজীব্য নয় । অল্প বয়স থেকেই ছোটরা যাতে বড় হবার, মানুষ হবার প্রেরণা পায়-তাঁর লেখার মধ্যে সেই দিকটার দিকেই নজর বেশি । আগুনে না পোড়ালে যেমন সোনা হয় না, তেমনি দুঃখ-কষ্টভরা বাস্তব জগতের অভিজ্ঞতা ছাড়াও মানুষ খাঁটি মানুষে পরিণত হতে পারে না । কিশোর-উপন্যাসে এই সত্যটিকেই যেন তুলে ধরেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। যেমন, এই ‘ইতি তোমার মা” । বিচিত্র ঘাত-প্ৰতিঘাতের মধ্য দিয়ে এক প্রতিকূলতাকে কীভাবে জয় করতে শিখল, তারই এক গভীর, মর্মস্পশী কাহিনী এই উপন্যাস । সত্য, ধর্ম ও পৌরুষের চূড়ান্ত জয়ের এক অপ্রতিম আলেখ্য ।
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে। শৈশব কেটেছে ছােটনাগপুরের নির্জন পাহাড়ি অঞ্চলে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক বিষয় রসায়ন। কিছুকাল দেওঘর রামকৃষ্ণ মিশনে শিক্ষকতা করেন। তারপর একটি রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানে কেমিস্ট। অতঃপর সরকারি চাকরি শেষে সাংবাদিকতায়। সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার সহযােগী সম্পাদক ছিলেন একসময়। প্রথম প্রকাশিত লেখা একটি গল্প ‘সারি সারি মুখ। প্রথম ধারাবাহিক সুদীর্ঘ লেখা ‘দেশ’ পত্রিকায় সঞ্জয় ছদ্মনামে ‘জীবিকার সন্ধানে পশ্চিমবঙ্গ’ পরে পুস্তকাকারে প্রকাশিত। প্রথম উপন্যাস ‘পায়রা’ শারদীয় দেশ পত্রিকাতেই প্রকাশ পায়। আনন্দ পুরস্কার, বিদ্যাসাগর পুরস্কার, বঙ্কিম পুরস্কার, নিবেদিতা পুরস্কারের পাশাপাশি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত শরৎচন্দ্র স্মৃতি পদক ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত বঙ্গবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত।