আনাতোলিয়া। এশিয়া মাইনর। তুরস্ক। কত নামেই না তাকে ডাকা যায়। অথচ নামের চেয়ে উজ্জ্বল তার রাজধানীÑইস্তাম্বুল! বাইজেন্টিয়াম। কনস্টান্টিনোপল্স। তারও কত বিশেষণ। দুটি মহাদেশ, দুটি সমুদ্র, দুটি ধর্ম, দুটি সংস্কৃতির অত্যুজ্জ্বল নগরী। পরতে পরতে যার রূপ-রহস্য আর অপরূপার রোশনী। ছ’শো বছরের ওসমানী খিলাফত আর ইব্রাহিম থেকে শুরু করে আতাতুর্কের জানা-অজানা কত না গল্পে ভরপুর ওরিয়েন্ট-এক্সপ্রেস। হেলেন থেকে জাজা-গাবর পর্যন্ত কত নায়ীকার পদচারণায় ধন্য সে দেশ; সেই যাদুনগরী! এ-শুধু ভ্রমণ নয়, ইতিহাস; পাঠ নয়, সমৃদ্ধি। সাহিত্যের জন্য তো বটেই, আত্মার প্রশান্তির জন্যও এক আকর গ্রন্থ।
বুলবুল সরওয়ার
জন্ম গোপালগঞ্জে। ১৯৬২’র ২৭শে নভেম্বর। ৯ ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠ। মিশনারি স্কুলের প্রভাবে অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা তার মজ্জাগত। পরিবারেও ছিল শিল্প-সাহিত্যের আবহ। বিশেষত বাবার প্রভাব এবং বড় তিন ভাইয়ের উৎসাহ তাকে শেষপর্যন্ত সাহিত্যেই থিতু করে দিয়েছে। লেখালেখি শুরু শৈশবে। আজাদ-ইত্তেফাক থেকে শুরু করে দেশের অধিকাংশ দৈনিক ও সাময়িকীতে লিখেছেন। কলকাতা-আসামেও সমান জনপ্রিয়। ১৯৮৯তেই ভারত থেকে প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘হিটলারের লাশ’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৬। লিখেছেন কবিতা, গল্প, শিশুসাহিত্য, পত্রকথা। অনুবাদও কম নয়; ১৫টি বিশ্বসেরা উপন্যাস। ভ্রমণে তার বিশেষ মুনশিয়ানা। জনস্বাস্থ্যের অধ্যাপক বুলবুলের প্রিয় বিষয় চিঠি, আড্ডা, কফি এবং নজরুল। স্ত্রী দিলরুবা মনোয়ার, কন্যা আয়েশা তাজিন মাশরুবা ও পুত্র আয়হান নাভিদ নওরোজকে নিয়ে বাস করেন ঢাকার শ্যামলীতে।