ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ‘উপন্যাসে একটি দৃশ্য আছে যেখঅনে হাডসন তার ছেলের সাথে মাছ ধরে, এবং দৃশ্যটি এতটাই পর্যবেক্ষণের সাথে বর্ণনা করা হয়েছে- এমনকি, আমার কাছে মনে হয়েছে, ‘দি ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী’- এর থেকেও শৈল্পিক ও আকর্ষনীয় হয়েছে এবং এতটাই আবেগঘন হয়েছে যে আমি পড়ে শিহরিত হয়েছি এবং নিজেই মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত হতে চেয়েছি, যেকাজিটি আমার কখনেই পছন্দের ছিল না। একেই বলে যাদু যা কিনা হেমিংওয়ে তাঁর শব্দ, ভাষা এবং প্রকাশভঙ্গী দিয়ে তৈরি করেন। - রিভিউ: রূফ বীম রিডার, আমেরিকা।
‘যদি আপনি ‘দি ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী’ পছন্দ করে থাকেন। এটা ঠিক তেমনই একটি কাজ। ক্ষেত্র বিশেষ আমি এটাকেই এগিয়ে রাখবো।’ -রিভিউ : গু ড রিডস
‘কেউ বলেন এটা বড়দের উপন্যাস, কেউ বলেন সমুদ্রপ্রেমী ও ইতিহাসপ্রেমীদের, কেউ বলেন সমুদ্রপ্রেমী ও ইতিহাসপ্রেমীদের, কেউ বলেন দুঃসাহসীদের; আমি বলবো বাবাদের।’ -ম্যাথিউ, কানাডা।
‘মর্ম স্পর্শ করে কোথাও কোথাও।’ - জন ডি অলড্রিজ, স্যাটারডে রিভিউ।
ভূমিকা মৃত্যুর আগের দিনগুলিতে হেমিংওয়ে যে তিনটি বড় ভাগে বিভক্ত ‘আইল্যান্ডজ ইন দ্য স্ট্রীম’ উপন্যাসটি লিখছিলেন, তার প্রথম ভাগ : বিমিনি-১৯৩০-এর দশকে গালফ স্ট্রীম অর্থাৎ উপসাগরীয় স্রোতের এক দ্বীপে এক প্রখ্যাত শিল্পীর জীবনযাপনের বৃত্তান্ত, যেখানে সমুদ্রে মাছ ধরার এক অনুপম সুন্দর ও শক্তিশালী ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। তৃতীয় ভাগ-সাগরে-যুদ্ধের কাহিনী, উত্তেজনা ও অ্যাকশনে থরথর।
সব মিলিয়ে হেমিংয়ের অনুকরণীয় বর্ণনাভঙ্গি, ঋদ্ধ জীবনচর্যার সঙ্গে গাঢ় পরিচয় ও প্রাণকাড়া ভালবাসা ও অনুরাগ মিশিয়ে সাহিত্য পাঠের অনন্য অভিজ্ঞতা।
‘এই বইয়ে হেশিংওয়ের প্রকৃতি বর্ণনার কিছু সেরা কাজের নমুনা মেলে : কিউবার উপকূলে সমুদ্রের সাদা ও সবুজের মিশেরে ভেঙে পড়া; গভীর সমুদ্রে ভোরের সৌন্দর্য; হার্মিট কাঁকড়া, ল্যান্ ক্র্যাবস ও গোউস্ট ক্র্যাবস ; মালেটকে তাড়া করা জান্তব ব্যারাকুডা, পান্নাসবুজ টলটলে পানির উপর দিয়ে শাদা পাখার বকের উড়ে যাওয়া; আইবিস, ফ্ল্যামিঙ্গো ও স্পুনবিল, স্পুনবিলের ডানায় দম আটকে আসা গোলাপি উজ্জ্বল ঝলক; জলাভূমি থেকে উঠে আসা মশার মেঘ; বাতাসের চাবুকে পানির কুঁকড়ে যাওয়া, ফুঁৎকার দিয়ে ছোটা; স্রোতে ভেসে আসে কাঠের টুকরোয় নোনা বাতাস আর বালুর কারুকর্ম’