ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস
বইঃ ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের প্রকৃত ইতিহাস ও কারবালার সঠিক ইতিহাস। বইটির নাম থেকেই বোঝা যায় আলোচিত বিষয় বস্তুর। ইসলামের শুরু থেকেই কাফের ও মুনাফিকরা ইসলামের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। দুটি শক্তির দ্বারাই ইসামের ক্ষতি সাধিত হয়েছে,কিন্তু তা সমান্তরাল না। কারন কাফিররা ইসলামের বিরোধিতা করতো প্রকাশ্যে,ফলে তাদের চিহ্নিত করা ও তাদের প্রতিহত করা সহজ ছিল।অপর দিকে মুনাফিকরা বাহ্যিকভাবে মুসলিম ছিল,তারা সাধারণ মুসমিলদের মতোই চলাফেরা করতো, রাসূল ( সঃ) ও অন্যান্য খলিফাতুল মুসলিমীন (রাঃ) দের মজলিসে উপস্থিত থাকতো,ফলে তাদের ষড়যন্ত্রের ফলে ইসলাম ও ইসলামী খেলাফতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। মহানবী (সাঃ) এর ইন্তিকালের পর ইসলাম ও মুসলমানদের শক্তি ও শৃঙখলার কেন্দ্র ছিল নিযামে খেলাফত। মহানবী (সাঃ) এর ইন্তিকালের পর প্রথম ও দ্বিতীয় খলিফার কালজয়ী আর্দশ ও শাসনে যখন চারিদিকে ইসলামের জয়জয়কার, তখন ইয়াহুদি ও খৃষ্টান চক্র তাদের ষড়যন্ত্রের মূল টার্গেট বানায় 'নিযামে খিলাফতকে'।তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য হযরত উসমান (রাঃ) খিলাফতের প্রাথমিক পর্যায়ে হিজরীর ২৫ সনে ছদ্মবেশ ধারণ করে মুসলমানদের দলভুক্ত হয় আব্দুল্লাহ বিন সাবা নামে এক কুখ্যাত ইয়াহুদি মুনাফিক,এই সাবা সকল মুনাফিকদের এক করে একটি গোপন দল গঠন করে,যা সাবায়ী বা খারেজি নামে পরিচিত। এই খারেজিদের চক্রান্ত ও নেতৃত্বেই ফলেই হযরত উসমান ( রাঃ) হত্যা এবং জঙ্গে জামাল ও জঙ্গে সিফফীন সংগঠিত হয়। বইটিতে আরো শিয়া সম্পদায়ের উৎপত্তি এবং কারবালার প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।এবং মীর মোশারফ হোসেন রচিত "বিষাদ সিন্ধু" মতো ভুলে ভরা শিয়াদের ইতিহাস নির্ভর বই, কীভাবে আমাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লো তার ইতিহাস লেখক তুলে ধরেছেন। চতুর্থ অর্ধায়ে লেখক সাহাবীদের মাকাম,মর্যাদা এবং সাহাবীদের ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদার আলোচনা করেছেন। পরিশেষে লেখক বর্তমান পেক্ষাপটে ইয়াহুদি ও খৃষ্টানদের ষড়যন্ত্রের স্বরূপ শিরোনামে সংক্ষিপ্ত ও গভীর পর্যালোচনার মাধ্যমে বইয়ের সমাপ্তি টেনেছেন।