অতঃপর আমি কোন এক মসজিদে (ধর্মীয় ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি, ঘাটতি ও মানহানির কুপ্রভাব বিষয়ের উপর) এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখি। যাতে বিভিন্ন আকৃীদাহ্, ধর্ম, ইবাদত, করণীয়, বর্জনীয়, নিয়্যাত ও আদান-প্রদান ইত্যাদি সম্পর্কে আলােকপাত করি। আর তাতে আমি উল্লেখ করেছি যে, এই ব্যাপারে মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত। দুই পাশে দুই এবং মধ্যপন্থী।
তাদের একদল:
ঘাটতি করেছে এবং অবহেলা ও অলসতায় লিপ্ত হয়েছে। ফলে তারা তাদের উপর ন্যস্ত আবশ্যক দায়িত্ব পালন করেনি, যার মাধ্যমে তারা দায়িত্বমুক্ত হতে পারে বা তারা জ্ঞানীদের প্রশাংসার পাত্র হতে পারে। সুতরাং এমন ব্যক্তি তার ত্রুটির কারণে তিরস্কারযােগ্য। আবার তার ইবাদত আল্লাহর নিকট গ্রহণযােগ্য নাও হতে পারে। দ্বিতীয় দল:
কঠোরতা অবলম্বন করেছে এবং নিজের উপর এমন কিছু চাপিয়ে নিয়েছে যা তাকে আদেশ করা হয়নি। আর অবশ্য পালনীয় বিষয়ের উপর এমন কিছু অতিরিক্ত করেছে, যার দ্বারা তা নষ্ট করে ফেলেছে বা তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলেছে। আর নিঃসন্দেহে এটা নিন্দনীয়, কেননা সে ব্যক্তি নিজেকে এমন কষ্ট দিয়েছে যার ইসলামী শরীয়তে কোন দলীল প্রমাণ নেই। যা কোন ব্যক্তি প্রত্যক্ষ করলে তার ইবাদতের প্রতি অনীহা হতে পারে এবং যা এক রকমের কষ্টদায়ক শাস্তি।
তৃতীয় দল হচ্ছে মধ্যপন্থী:
আর তা হল আল্লাহ্র মনােনীত দ্বীন, যা সহজ ও সরল। যাতে ইবাদতের রুকন বা ওয়াজিব না ছুটে গেলে তা নষ্ট হয় না, সুন্নাত ছুটে না গেলে বা কোন মাকরূহ কাজ না করলে তার সাওয়াব কমে না এবং কোন মানুষের উপর তা আদায় করা এমন কষ্টকরও নয়, যাতে বিরক্তি বা ক্লান্তি হতে পারে।
আমার এই বক্তব্য জনৈক শ্রোতা রেকর্ড করে তা কপি করার পর আমার সামনে তা জনসমাজে প্রচারের উদ্দেশ্যে পেশ করে। আমি বললাম যে, কোন অসুবিধা নেই। তবে আমি একথাও বললাম যে, এই মৌখিক বক্তব্যে ভাষা ও ভাবভঙ্গিমায় দুর্বলতা রয়েছে, যা স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, মানুষের একটি গুণ হল, দুর্বলতা ও ত্রুটি। অনেক অর্থপূর্ণ কথা বা দলীল মনে থাকা সত্ত্বেও বক্তব্যের সময় তা স্মরণ হতে হারিয়ে যায়। এমনিভাবে অনেক তথ্য বা প্রমাণ আমি উল্লেখ করি, কিন্তু তা প্রসিদ্ধ নয়।