"ইকবাল মননে অন্বেষণে" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
তারানা-ই-হিন্দ ও তারানা-ই-মিল্লির মতাে গান লিখেছিলেন ইকবাল। সেই সংগীতের সূত্রে উপমহাদেশের মানুষের স্মৃতিতে গাঁথা হয়ে আছেন তিনি। তাঁকে বলা হয় প্রচ্যের কবি। কখনাে বা এশিয়ার পােয়েট লরিয়েট। তাঁর কবিতা ও দর্শন হাত ধরাধরি চলে। এসব কবিতা প্রাচ্যদর্শন ভূমির উপর আলােকপাত।
মানবজাতির ইতিহাস রূপায়নে ইসলামের ভমিকা কি ইকবাল তা দেখিয়েছেন মনীষার দীপ্তিতে। তাঁর উদার চিন্তা-ভাবনা, দেশপ্রেম, আজাদীর আকাঙ্ক্ষা, জুলুমের বিরুদ্ধে মন্ত্রণা আর আত্মবিকাশের আহ্বান ছাপিয়ে উঠেছে তার সবকিছুকে। তাঁর এই বিপুলপ্রসারী জীবনের মানস কমলটি শান্ত কলমে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক।
ফাহমিদ-উর-রহমান
আম্মা : ফজিলাতুননেসা
আব্বা : মাসুদুর রহমান
জন্ম : যশোর, ২৮ অক্টোবর, ১৯৬৩
শৈশব কৈশোর : যশোর
যশোর জেলা স্কুল ও যশোর এম. এম. কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিসিয়ানস্ এন্ড সার্জনস্ থেকে মনোরোগবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন। ফাহমিদ-উর- রহমান মননশীল প্রাবন্ধিক ও বুদ্ধিজীবী। ছাত্র জীবন থেকে লেখালেখি ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও এবং পেশাগত জীবনের বাইরে তিনি নিরন্তর নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় ও বৈশ্বিকভাবে বাঙ্গালি মুসলমানের স্থান নির্ণয়ের কাজে। সাহিত্যের নেশা তাকে টেনেছে। পেশার প্রাচীর তার কলম আটকিয়ে রাখতে পারেনি। নেশা তার বিচিত্র। ইতিহাস, সংস্কৃতি, শিল্পকলা, ধর্ম, সমাজ ও রাজনীতি - সকল বিষয়ে তার আগ্রহ। এর ভিতর দিয়ে তিনি তৈরি করেছেন বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গী যা দিয়ে তিনি হাঁটেন বহু বিচিত্র পথে। শিখেছেন স্রোতের বিরুদ্ধে কথা বলতে। প্রবল সাংস্কৃতিক ও ইতিহাস চেতনা তাকে তাড়িত করে, যার ফলে তার লেখায় থাকে তত্ত্ব, তথ্য ও ভাবুকতার এক অনন্যপূর্ব আস্বাদ, যা তাকে একজন মূলত আদর্শ সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে চিহ্নিত করে। তার এই সাংস্কৃতিক অনুসন্ধিৎসাকে বিদ্বৎসমাজ শ্রদ্ধা জানাতে বাধ্য হয়েছেন।