একজন সফল ইন্ট্রাপ্রেনিউর বা স্মার্ট প্রফেশনাল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ স্বীকার, প্রতিদিন শেখার মানসিকতা এবং সময়ের পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেবার ইচ্ছার সমন্বয় প্রয়োজন। আপনি যদি ক্রমাগত নতুন চ্যালেঞ্জ, কৌতুহলী মানসিকতা ও সুযোগ খোঁজার স্পৃহা মনের মধ্যে লালন করতে পারেন তাহলেই আপনি প্রতিদিন অর্জন নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন। হতাশা আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
ইন্ট্রাপ্রেনিউর বা স্মার্ট প্রফেশনাল হওয়ার ক্ষেত্রে আরো বড় একটি বাধা আপনাকে অতিক্রম করতে হবে সেটি হলো অন্যের অনুমানকে যাচাই বাছাই ছাড়া বিশ্বাস করে হাল ছেড়ে দেয়া। মনে রাখবেন আপনাকে থামিয়ে দেবার মানুষ যেমন আছে তেমনি আপনাকে এগিয়ে দেবার মানষও অনেক আছে। অতএব আপনার বিচক্ষণতার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা এখানে অত্যন্ত প্রয়োজন। সবসময় আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার কাজের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব সমাজে এবং বিশ্বে বিস্তার করছে কিনা।
আপনার সহকর্মী, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যদের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলবেন যার ভিত্তি হবে বিশ্বাস। সম্পর্ক উন্নয়ন এবং টেকসই করতে আপনাকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে তাহলেই আপনি বড় বড় বাধা সহজেই অতিক্রম করতে পারবেন এবং একজন ইন্ট্রাপ্রেনিউর বা পেশাদার হিসাবে আপনার লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়ে যাবে।
সর্বোপরি, মনে রাখবেন যে সাফল্য কেবল আপনার নিজের লক্ষ্য অর্জনকেই বোঝায় না, বরং অন্যদের উপর কি রকম ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে সেটাকেও বোঝায়। অতএব লক্ষ্যকে বড় করুন, হয়তো শুরুটা ছোটো হবে প্রথম দিকে। ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে “Think Global, Start With Local”.
পেশাদারদের জন্য সাফল্যের নিশ্চয়তা দেয় এমন কোন নির্দিষ্ট সূত্র বা ফর্মূলা নেই। তবে কিছু মানুষের সাফল্যকে পর্যালোচনা করলে আপনি অনুপ্রাণিত হবার মতো অনেক উদাহরণ দেখতে পাবেন। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বর্তমানকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করে আপনি যখন আপনার কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করবেন। তখন আপনার সাফল্যের গল্প আরেকজনের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে যাবে।