ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্থানে রয়েছেন-পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ সম্পর্কে এই মন্তব্য টাইম সাপ্তাহিকীর। খুব অল্পের জন্য আততায়ীর হাতে মৃত্যু থেকে রক্ষা পেয়েছেন দু, দু’বার। তার সেনারা নগরে লোকারণ্যে ও পাহাড়-পর্বতের দুর্গম অঞ্চলে ৬৭০ জন আল কায়েদার সদস্য গ্রেফতার করেছে, গ্রেফতারের বাইরে রয়েছে অনেক। ওসামা বিন লাদেন ও আয়মান আল জাওহুরি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ১৯৯৮ তে পাকিস্তান আণবিক বোমা বিস্ফোরণ করার পর, তার দীর্ঘ বৈরী প্রতিবেশী ও আণবিক শক্তিধর ভারতের সঙ্গে দু’বার ভয়াল যুদ্ধের সম্মুখীন হয়।ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোন রাষ্ট্রপ্রধানের তার সরকারের বিষয়ে প্রকাশ্যে বর্ণনা করে মেমোয়ার লেখার মতো নজির আর নেই। ‘ইন দ্য লাইন অব্ ফায়ার’-এ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ ঠিক তাই করেছেন। এখানে পাঠক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধের প্রত্যক্ষ বর্ণানা পাবেন, জানবেন এ বিষয়ে অনেক অজানা তথ্য। ওসামা বা জাওহুরি ও তাদের সহযোগিদের ধরার জন্য কৌশল, খবর সংগ্রহ, দুতিয়ালী ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অনুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছেন পারভেজ। তিনি জানিয়েছেন কীবাবে অল্পের জন্য আততায়ীদের হত্যা প্রচেষ্টা থেকে রক্ষা পেয়েছেন-তিনি নিজে, শওকত আজিজ ও উচ্চপদস্থ সামরিক কর্তকর্তারা ‘ইন দ্য লাইন অব্ ফায়ার’ শুধু একটি বিশেষ সময়ের বর্ণনা নয়, পারভেজ কীভাবে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা অধিগ্রহণ করেন, কাশ্মীরের কারগিলে ভারতের সেনাবাহিনীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও এই দীর্ঘ বৈরী দু’ দেশের রক্তক্ষয়ী বড় রকমের যুদ্ধ থেকে সরে আসার কথাও বলা হয়েছে এখানে। সারা পৃথিবীতে হৈ চৈ ফেলা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার মতো ঘটনা পাকিস্তানের আণবিক মারণাস্ত্রের স্রষ্টা আবদুল কাদের খানের আণবিক প্রযুক্তি বিদেশে পাচারের কথাও তিনি তার মেমোয়ারে জানিয়েছেন খোলামেলাভাবে।