পরস্পরের শৈশবের বন্ধু, কৈশোরের উদ্দীপনা আর যৌবনের আকর্ষন।
বেড়ে উঠেছে পরস্পরের পরিপূরক হয়ে।
দুজনেরই ফেসবুক ইনফো-তে সবসময় লেখা থাকে " ইন এ রিলেশনশীপ "!
পরিবার বা কলেজ সর্বত্র ওপেন সিক্রেটের মতোই ওদের সম্পর্কটা।
একদিন কলেজেরই একটি রিলেশনশীপের মর্মান্তিক পরিণতি দেখে বান্ধবী তাবশীর মানসিকভাবে প্রচন্ড হোঁচট খায়। রিলেশনশীপের দাবী নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগে।
বদলে যায় মানসিকতা। পরিবর্তিত চোখে তাবশীর উপলদ্ধি করে নতুন জীবনদর্শন।
ছেলেটা তাবশীরের এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারেনা।
ফলাফল ঝগড়া অতঃপর, বিচ্ছেদ।
জীবনের একটি বাঁকে এসে ঈউশাও ঝাঁকি খাবার মতো অনুভূতি হয়। বুঝতে শেখে নিজের ভুল। কিন্তু ততদিনে দুজনের মাঝে দাঁড়িয়ে গেছে বিবেকের দুর্ভেদ্য দেয়াল। উঠতি বয়সী এই দুই তরুন-তরুনীর বিবেকের দংশন আর মানসিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে কাহিনী।
ভুলগুলো শুধরে নিয়ে পরিশোধিত জীবনে নতুন করে সাধ জাগে পরস্পরকে ফিরে পাবার। ততদিনে কঠোর বাস্তবতা ওদের চারদিকে শত নিয়মের বেড়া তুলে দিয়েছে।
তাবশীরের বিয়ে চুড়ান্ত হয়ে যায়। ঈউশা তখন অনেক দুরে। যখন জানতে পারে তখন কিছু করার থাকে না। দ্বারস্থ হয় সকল অটুট রিলেশনশীপের স্রষ্টার কাছে।
যিনি মানুষকে ছোট ছোট বন্ধনে বেঁধে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন আর প্রতিটি বন্ধনকে আলাদা করে মানতে ও বুঝতে শিখিয়েছেন।
নিজেদের গড়া ঠুনকো রিলেশনশীপ স্রষ্টার বেঁধে দেয়া নিয়মতান্ত্রিক রিলেশনশীপের কাছে কতটা যে তুচ্ছ তার উপলব্ধি জাগাতে পড়ুন,