নোরা একজন লেখিকা। লন্ডনের এক ছোট্ট ফ্ল্যাটে একা থাকে। সুখী মানুষ। তার স্বস্তিময় জীবনে বাদ সাধে একটা ইমেইল, যেটা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় দশ বছর আগে। দশ বছর আগে তার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল ক্লেরা। এতদিনে দেখা হওয়া তো দূরের কথা, একটিবারের জন্য কথাও হয়নি তাদের। অথচ ইমেইলটা এসেছে ক্লেরার পক্ষ থেকে, ওর ব্যাচেলর-পার্টিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণপত্র হিসেবে। ক্লেরা বিয়ে করছে ভালো কথা, কিন্তু নোরাকে কেন বলছে? বলছে বলছে, তাও বিয়েতে দাওয়াত না দিয়ে কেবল ব্যাচেলর-পার্টিতে যেতে বলছে কেন? আবার যেতে হবে গভীর জঙ্গলের মধ্যেকার এক বাড়িতে! কেন? অনেক প্রশ্ন। উত্তর জানা নেই।
প্রচণ্ড শারীরিক যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে ভয়ংকর আহত অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এটুকুই শুধু মনে পড়ছে নোরার। শতচেষ্টা করেও মনে করতে পারছে না, ঠিক কী হয়েছিল সেখানে, কেনইবা আজ তার এই দশা।
চোখ বন্ধ করলেই অনেকগুলো টুকরো টুকরো স্মৃতি ভেসে আসছে। সেসব স্মৃতিতে রক্তের সাগর দেখতে পাচ্ছে সে। এত রক্ত কেন? কেউ কি খুন হয়েছিল ওখানে? কে? কে-ই বা করলো খুনটা? সে নিজে না তো? পুলিশের কথাই কি তবে সত্যি?
সব প্রশ্নের উত্তর আছে অন্ধকার, অন্ধকার ঐ জঙ্গলে...যেখানে লুকিয়ে আছে আরও অন্ধকার, অন্ধকার এক অতীত। নোরার সাথে পাঠককেও সেই অন্ধকার, অন্ধকার জগতে স্বাগত।