একজন মুসলমানের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু হলো তার ঈমান। আর এই ঈমান আমাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায় বা পরিস্থিতিতে এমনকি প্রতিদিনের নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের উপর বাড়ে বা কমে। আবার অনেকে এক পর্যায়ে গিয়ে ঈমান হারাও হয়ে যায়। এটাই আমাদের আক্বিদা। ঈমান কোনো স্থীর জিনিস নয়। এর পরিচর্যা করতে হয়, একে সংরক্ষণ করতে হয়।
এই চমৎকার ছোট্ট বইটি আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান এই সম্পদটি নিয়েই লিখা। বইটি লেখক তিন ভাগে ভাগ করেছেন।
. ♦️প্রথম ভাগের নাম দুর্বল ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। এতে আলোচনা করা হয়েছে নিজের মধ্যে কি কি বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেলে বুঝতে হবে যে বিপদ ঘণ্টা বেজে গেছে অর্থাৎ ঈমানের অবস্থা দুর্বল। এ বৈশিষ্ট্য গুলোর মধ্যে আছে হারাম কাজে নিমজ্জিত হওয়া, অন্তঃকরণে কাঠিণ্যতা অনুভব করা, ভালোভাবে ইবাদত না করে,মেজাজের ভারসাম্যহীনতা,কৃপণতা,মুসলমানদের সমস্যার ব্যাপারে গুরুত্ব না দেয়া ইত্যাদি। বৈশিষ্ট্যগুলি অতি সংক্ষেপে ও সহজ ভাষায় কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথায় অলোচনা করা হয়েছে। যার মধ্যে ভাববার অনেক বিষয় আছে।
. ♦️দ্বিতীয় ভাগে আছে ঈমানের দুর্বলতার কারণসমূহ। এখানে মোট আটটি কারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।যেমন-ঈমানী পরিবেশ থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকা,সৎ ও অনুকরণযোগ্য ব্যক্তি থেকে দূরে থাকা,শরীয়তের জ্ঞান ও ঈমানী বইপত্র থেকে দূরে থাকা,গুনাহগারদের মাঝে অবস্থান করা এবং এরকম আরো চারটি।
. ♦️তৃতীয় ভাগে আছে দুর্বল ঈমানের চিকিৎসা করার কিছু উপয়ায়ের উপর আলোচনা। যেমন-কুরআন মাজীদ নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহর বড়ত্ব অনুভব করা, শরীয়তের জ্ঞান অর্জন করা, সর্বদা আল্লাহর যিকির,সর্বদা দুআ করা,কামনা-বাসনা কম করা, দুনিয়াকে নগন্য মনে করা, মুমিনদের সাথে সম্পর্ক গড়া ও কাফিরদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করা ইত্যাদি।
. বইটি সকলের জন্য অবশ্যপাঠ্য বলে আমি মনে করি। বইটি সময় নিয়ে ধীরে ধীরে পড়া উচিত। দ্রুতগতিতে না। কেননা বইটির প্রতিটি বাক্যে প্রচুর চিন্তার খোরাক আছে। আর আল্লাহই ভালো জানেন। আল্লাহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম প্রতিদান দিন।বিশেষ করে শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদকে এবং জালিমদের হাত থেকে তাঁকে মুক্তি দান করুন।