চলতে চলতে মানুষ সচেতন ও অবচেতনের মাঝামাঝি যে দ্বিধাগ্রস্ত, রহস্যময় অবস্থানে পৌঁছায় সেখানে সে খুব নিঃসঙ্গ, পাগল, প্রেমিক, কবিও কখনো-বা।
সচেতন স্তরে যা কিছু ঘটছে তা অবচেতনেরই বহিঃপ্রকাশ বোধ করি। এ-ও লক্ষ করি, সচেতন স্তর সেগুলোকেই সহজে গ্রহণ করে যা সামাজিকভাবে স্বীকৃত। কারণ আমাদের সামাজিকতা আমাদের সচেতন স্তরের ওপর কর্তৃত্ব বিস্তার করে বসে আছে। কখনো কখনো তা অবচেতনের সমস্ত কিছুকে সহজে গ্রহণ করার পরিবর্তে বিট্রে করে বসে। কিন্তু কবি বা পাগল বা প্রেমিক সম্ভবত এই বিট্রে করাটা মানতে চায় না। সে তার অবচেতনকে তখন দ্বিধাহীনভাবে প্রকাশ করে চলে। সম্ভবত সেগুলোই তার কবিতা, না-কবিতা, পাগলামি বা প্রেম।