ভূমিকা ইব্রাহিম বক্সের সাকা ‘পশ্চিমের মেঘে সোনার সিংহ’ গ্রন্থে অন্তর্ভূক্ত একটি গল্প। এই গল্পটি ভিত্তি করে চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহ দেখিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বিকল্পধারার একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাতা। গল্পটি আমি মূলত সাহিত্যকর্ম হিসেবে রচনা করলেও তারা এর চলচ্চিত্র সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করেন। চলচ্চিত্রের সঙ্গে আমারও ব্যাক্তিগত সংশ্লিষ্টতা রয়েছে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে এককালীন ঘনিষ্ঠ সক্রিযতা এবং পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখালেখি এবং গণমাধ্যমে চলচ্চিত্র বিষয়ক অনুষ্ঠান পরিচালনার মাধ্যমে। চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আগ্রহের প্রেক্ষিতে এই গল্পটির একটি চিত্রনাট্য রচনা করি। এদিকে চরচ্চিত্র পরিভাষায় যাকে বলে ‘সুটিং স্ক্রিপ্ট’ তা বলা যাবে না, বরং বলা যায় গল্পটির একটি দৃশ্য পরিকল্পনা। প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহে সফল না হওয়ায় আগ্রহী চলচ্চিত্র নির্মাতারা এ গল্পটির চলচ্চিত্ররুপ দিতে সক্ষম হননি। এর চলচ্চিত্রায়ন আপাতত সম্ভাবনা হিসেবে রয়েছে। ইত্যোবসরে চিত্রনাট্যটি পাঠকের জন্য উপস্থিত করলাম। চিত্রনাট্য প্রকাশের রেওয়াজ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে থাকলেও আমাদের দেশে সে চল তেমন নেই। আমার চিত্রনাট্যটি প্রকাশের উদ্যোগ দেবার জন্য প্রকাশক অস্ট্রিক আর্যূকে ধন্যবাদ জানাই প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য এই গল্পটির উপর ভিত্তি করে একটি মঞ্চনাটক প্রযোজনা করেছে ঢাকার সুবচন নাট্যগোষ্ঠী ‘ষড়ভুজ’ নামে।
শাহাদুজ্জামান
ব্যতিক্রমী এবং নিরীক্ষাধর্মী গ্রন্থ রচনার মধ্য দিয়ে শাহাদুজ্জামান মননশীল বাংলা কথাসাহিত্যে তাঁর অনিবার্য অবস্থানটি ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছেন। গল্প, উপন্যাস ছাড়াও প্রবন্ধ, গবেষণা, ভ্রমণ এবং অনুবাদ সাহিত্যেও রয়েছে তাঁর উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ।
শাহাদুজ্জামান পড়াশােনা করেছেন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। পরবর্তীকালে তিনি নেদারল্যান্ডস-এর আমস্টার্ডাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানে। পেশাগতভাবে তিনি ডাক্তার হিসেবে কাজ করেছেন উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক-এর গ্রামীণ স্বাস্থ্য প্রকল্পে, পরে অধ্যাপনা করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ’এ। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যের গ্লাসগাে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা এবং অধ্যাপনায় যুক্ত আছেন। শাহাদুজ্জামানের জন্ম ১৯৬০ সালে ঢাকায়।