কিংবদন্তির সায়েন্স-ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভ এর জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পেশাগত জীবনে তিনি বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্টের প্রফেসর ছিলেন। সায়েন্স-ফিকশন দুনিয়ার রবার্ট ই. হিনলিন, আর্থাও সি. ক্লার্ক তাকে বিগ থ্রি বলে অভিহিত করে থাকে।
প্রায় ৪০০ বইয়েওে স্রষ্টা তিনি। তার প্রবন্ধ সংগ্রহ, রহস্যগল্প এবং সায়েন্স-ফিকশন খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ কওে তার ফাউন্ডেশন সিরিজ’ তাকে খ্যাতির শীর্ষে স্থান দিয়েছে। তার গল্প নিয়ে হলিউডে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য চলচ্চিত্র। এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন ভাষায় তার লেখা অনুদিত হয়ে আসছে, নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র।
সারার পৃথিবীর বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর লেখকদেও আদর্শ তিনি।
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল জন্ম ১ জানুয়ারি, খুলনা । বাবা বিশিষ্ট মুক্তিযােদ্ধা অধ্যক্ষ মােস্তাফিজুর রহমান এবং মা রাহিলা খাতুন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন, এমবিবিএস পাশ করেন ১৯৯৩ সালে । ছাত্রজীবনে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। তিনি থােরাসিক সার্জারিতে এমএস করছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেখি করেন প্রচুর। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, পাক্ষিক ও মাসিকে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। যদিও লেখালেখির শুরুটা কবিতা দিয়েই, কিন্তু বর্তমানে বেশি ব্যস্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখিতে । সায়েন্সফিকশন এবং ভৌতিকগল্পও লিখছেন প্রচুর । অনুবাদেও সমান দক্ষ। ইতােমধ্যে তার বেশ কিছু অনুবাদের বই বেরিয়েছে। প্রথম কবিতার বই একজন স্বপ্ন পুরুষের কাছে মৃত্যুর অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। বাংলায়। প্রথম দীর্ঘ সায়েন্সফিকশন কবিতা লেখেন তিনি, পৃথিবীর মৃত্যুতে কাঁদেনি কেউ শিরােনামের এই সায়েন্সফিকশন কবিতাটি প্রকাশিত হয় অন্যদিন পত্রিকায়। স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন। আনােয়ারা-নূর পুরস্কার। তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ক বইগুলাে ব্যাপকভাবে পাঠক জনপ্রিয় হয়েছে। রহস্য পত্রিকায় তিনি পাঠকদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেন। উন্মাদ পত্রিকায় তিনি পরিকল্পনা বিভাগে রয়েছেন। তিনি একটি জাতীয় দৈনিকের সাব এডিটর।