একটি বিড়াল। তার কোনো নাম নেই। দুর্ভাগ্য হলো জন্মের পরপরই সে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একটা ছেলে অকারণে তাকে দূরে ছুড়ে দেয়। সে পথ হারিয়ে ফেলে। স্কুলশিক্ষক মি. স্নিজ তাকে আশ্রয় দেয়। সেই বাড়িতে নানাধরনের লোকজন আসাযাওয়া করে। বিড়ালটি তাদের আচার-আচরণ দেখে বেশ কৌতুকবোধ করে। তাদের অন্তঃসারশূন্য কথাবার্তা আর কাজকর্মের বর্ণনা দেয় বিড়ালটি। এবং তার মনে হয় তার বুদ্ধি মানুষের চেয়েও অনেক উঁচুস্তরের। এই কৌতুককর অবস্থার মধ্য দিয়ে লেখক জাপানের মেইজি আমলের সমাজকে তুলে ধরেন। প্রকাশের শতবর্ষ পরেও বইটির আবেদন কমেনি।
নাটসুমি সোসেকি
নাতসুমে সোসেকি : জাপানি ঔপন্যাসিক। আসল নাম নাতসুমে কিন্নোসুকে। জন্ম ৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৭, জাপানের ইডো (বর্তমানে টোকিও) শহরে। ১৮৯৩ সালে ইউনিভার্সিটি অব টোকিও থেকে ইংরেজি সাহিত্যে ¯্নাতক। সরকারি বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডে পড়তে যান। ১৯০৩ সালে প্রভাষক হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব টোকিওতে যোগদান করেন। ১৯০৭ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে আসাহি শিমবুন পত্রিকায় সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সে সময় তিনি লেখার কাজে গভীরভাবে আত্মানিয়োগ করেন। তাঁর দুটো উপন্যাস ওয়াগাহাই-ওয়া নেকো ডি আরু (আই অ্যাম আ ক্যাট) ও বোচান (মাস্টার ডার্লিং) প্রকাশিত হলে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর অন্য গ্রন্থসমূহ : কোজিন (১৯১২-১৩; দি ওয়েফেরার), কোকোরো (১৯১৪), মোন (১৯১০; দ্য গেট)। শেষ উপন্যাস মিচিকুসা (১৯১৫; গ্রাস অন দ্য ওয়েসাইড)। এটি অনেকটা আত্মজীবনীমূলক। সোসেকি অনেক হাইকু, কানশি এবং রূপকথাও লিখেছেন। দ্য হার্ট, টেন নাইটস অব ড্রিমস, অ্যান্ড দেন, পপিস, বোচান তাঁর বইয়ের চলচ্চিত্ররূপ। মৃত্যু ৯ ডিসেম্বর, ১৯১৬ টোকিওতে।