হুতোম প্যাঁচার কলিকাতার নকশা, প্রথম খ-, প্রকাশিত হয় ১৭৮৩ শকাব্দে, খ্রিষ্টাব্দের হিসেবে তা ১৮৬১ হওয়ার কথা। ১৮৬২ সালে প্রকাশিত পরিবর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণে ‘কলিকাতার’ কথাটি বর্জিত হয় এবং ‘খ-ের’ বদলে ‘ভাগ’ কথাটি ব্যবহৃত হয়। অরুণ নাগ জানিয়েছেন যে, ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে এর দ্বিতীয় ভাগ প্রকাশলাভ করে এবং ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে দুটি ভাগ একত্র বাঁধিয়ে প্রচারিত হয়। হুতোম প্যাঁচা কে, এ-নিয়ে অনেক জল্পনাকল্পনা হয়েছে। কেউ কেউ নক্শার রচয়িতারূপে ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বা নবীনকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যয়ের নামও করেছেন। প্রকাশ হওয়া অবধি কিন্তু বইটি কালীপ্রসন্ন সিংহের (১৮৪০-৭০) রচনা বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। ক্যালকাটা রিভিউয়ে প্রকাশিত প্রবন্ধে বঙ্কিমচন্দ্রও কালীপ্রসন্নকে হুতোম বলে অভিহিত করেন। কালীপ্রসন্নের মৃত্যুর পরে ইন্ডিয়ান মিরর পত্রিকায় প্রকাশিত শোক-সংবাদে হুতোম প্যাঁচার নক্শার চতুর্থ সংস্করণে গ্রন্থকাররূপে কালীপ্রসন্নের নাম মুদ্রিত হয়। সুতরাং রচয়িতা সম্পর্কে তর্কবিতর্ক একরকম বাহুল্য বলা যায়।
আহমাদ মাযহার
জন্ম : ২৭ মার্চ ১৯৬৩, ঢাকায়। শিক্ষা : ১৯৭৮ সালে ঢাকা খিলগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, শহীদ সােহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে ১৯৮০ সালে এইচএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক এবং ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর । ছােটদের জন্য গল্প কবিতা ও প্রবন্ধ লিখে প্রথম দিকে পরিচিত হলেও সাম্প্রতিককালে সমাজ-চিন্তা ও গবেষণামূলক প্রবন্ধ, সংস্কৃতি-বিষয়ক রচনা ও সাহিত্যসমালােচনা লিখছেন। অনুবাদ-রূপান্তর ও পুনর্কথনমূলক লেখালেখিও রয়েছে কিছু। বর্তমানে বাংলা শিশুসাহিত্য নিয়ে এবং সাহিত্যপত্রিকা ও লিটল ম্যাগাজিন বিষয়ে স্বাধীনভাবে গবেষণা করছেন। রচিত-অনুদিত-সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি। শিক্ষা ও সংস্কৃতিধর্মী প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের গঠন যুগে দীর্ঘ ১৭ বছর যুক্ত ছিলেন কর্মী হিসেবে। বর্তমানে চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও বইয়ের জগৎ নামে একটি ত্রৈমাসিক লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করছেন।