রাত তখন বারোটারও বেশি। দরসগাহ থেকে মুতালা'আ করে ঘুমের ঘরে যাচ্ছিলাম। মনে পড়ে গেল সহপাঠী থেকে নেয়া বই 'হুমুল্লাজিনা'র কথা। না, আর লোভ সামলাতে পারলাম না। না শুয়েই রাতের শীতার্ত প্রহরে বারান্দার এক কোনে দাঁড়িয়ে পড়া শুরু করি সেই বই। আশপাশে তখন কেউ নেই। চারপাশে পিনপতন নীরবতা। সকলেই ঘুমের ঘোরে। বাইরে বে-ঘুম জেগে আছি কেবল আমি আর আমার বই!
ঘড়ির কাঁটা তখন একটা ছুঁই ছুঁই। ভাবলাম, এখন ঘুমিয়ে যাই। পরে পড়তে পারবো। যে-ই বলি,পড়ার তাগিদ যেন আরো বেড়ে যায়। সত্য বলতে, এই লেখকের বইগুলো এমনই, একবার হাতে নিলে মন চায় একটানা শেষ করে দিতে। চম্বুকের মতো সামনের দিকে টেনে নিয়ে যায়। বই রেখে ঘুমের ঘরে ফিরে যাই কি করে!!
তাঁর বইয়ের একটি আকর্ষণ হলো বইয়ের নাম! একেবারে পিলে চমকানো! এ যেমন 'পাগলের মাথা খারাপ', 'বেচারি গণতন্ত্র', 'আহাফি', 'মমাতি'...!
ঠিক এই বইটিও নামে তেমন–'হুমুলাজিনা'!
নাম দেখে যে কেউ বলে উঠবে 'হুমুলাজিনা' আবার কী! এর মানেটা কী! এটা আবার কেমন নাম!
'হুমুলাজিনা' আরবি ভাষার একটি অপূর্ণ কথা।
যার মানে 'তারাই ওরা যারা...'।
'যারা' মানে কারা? জানতে চেয়ে বইয়ের মলাট উল্টাতেই চোখে পড়ল লেখকের তা'আরুফি বয়ান।