ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ ‘আমরা দৈবক্রমে প্রকাশিত হই ; ইচ্ছা করলে, চেষ্টা করলে প্রকাশিত হতে পারিনে’ এই রবীন্দ্র উচ্চারণ কোন না কোনভাবে এই গ্রন্থের জন্যও প্রাসঙ্গিক।
প্রায় দু্ই যুগ আগে আমাদের ভাষার অন্যতম প্রধান স্থপতি হুমায়ূন আহমেদ এক যোগসূত্র তৈরি করেছিলেন বর্তমান লেখকের অনুষঙ্গে-খানিকটা প্রকাশিত হয়েছিলেন, চিঠিতে, আর বাকি অন্তর্গত কথা মেলে ধরেছিলেন মুগ্ধ পাঠিকার ডায়রিতে।
সেই স্মৃতি পুরাণের নতুন এক বিনির্মাণ এই গ্রন্থ। বলা যায়- আনুষ্ঠানিক কোনো তর্ক-ঝগড়ার প্রচারণা-প্ররোচনা ছাড়াই এই গ্রন্থ হয়ে উঠেছে তাই মানুষের মৌল এক অনুভূতির সহজ প্রকাশঃ একজন উন্মোচিত হয়েছেন আর একজন উন্মোচিত হওয়ার প্রণোদনা ছড়িয়েছেন। সে অর্থে এ গ্রন্থ মুগ্ধতা এবং সম্মাননা জ্ঞাপনের একটি স্মারক চিহৃ’ও বটে।
পূর্বকথা লেখাটি তৈরি করি হুমায়ূন আহমেদ যখন চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় অবস্থান করছিলেন তখন। ভেবেছিলাম তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরলে বিই’য়ের প্রথম কপিটি তাঁর হাতে দিয়ে চমক দেব। সুদীর্ঘ পঁচিশ বছর পর আমাকে দেখে তাঁর অনুভূতি কিরকম হয়, চিনতে পারেন কি না তা ভেবে খানিকটা উদ্বেগ -উত্তেজনা যে হচ্ছিল না- তা অস্বীকার করি কী করে!
কিন্তু ১৯ জুলাই তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে, আমাদের কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে। একবার আমাকে লিখেছিলেন ‘....আমি তোমাকে খুব লিখব যদি কথা দাও কেউ সে চিঠি পড়বে না। যদি কখনো খুব বিখ্যাত হয়ে যাই (সে সম্ভাবনা কিছুটা আঁছে) তাহলে সেসব প্রকাশ করবে, তবে তাও করবে আমার মৃত্যুর পর। ঠিক আছে?
অবশেষে তাঁর ইচ্ছেটারই জয় হলো। শাহানা কায়েস ‘আরণ্যক’ কাজলা, রাজশাহী