বই আমরা পড়তে পারি সবাই। কিন্তু বই একটু পরিচিত বিষয়ের বাইরে হলে বা বইয়ের ভাষা একটু কঠিন হলে, বোঝা দুষ্কর। কিছু নন-ফিকশন বই একবার পড়ে রেখে দেয়ার মতো না। এগুলোর বিষয়বস্তু মনে রাখতে হয়। সময়মতো কাজে লাগাতে হয়। এজন্য বই পড়ে মনে রাখাটাও জরুরি।
পড়া শেখার পর থেকে আমরা যেভাবে বই পড়ি, তাতে গল্প-উপন্যাস পড়া চলে। কিন্তু নন-ফিকশন জনরার বই পড়ে বোঝা ও মনে রাখার জন্য দরকার বিশেষ কিছু টেকনিক। যারা পরিচিত বিষয়ের বাইরের বই পড়ে বুঝতে চান, নতুন কোনো বিষয় বই পড়ে শিখতে চান, মনে রাখতে চান এই বই তাদের জন্য। ব্যায়াম করে যেমন অনেক ওজন তোলা যায়, এই বইটিও আপনাকে জটিল-কঠিন যেকোনো বই বুঝতে সাহায্য করবে।
মাসুদ শরীফ
আমার প্রথম জন্ম হয়েছিল রাত ১টার দিকে। যেকারণে কেউ বলে আমার জন্ম সোমবারে। কেউ বলে মঙ্গলবারে। প্রথমবার জন্মেছিলাম মানুষ হয়ে। সে ১৯৮৭ সালের কথা। আমার দ্বিতীয় জন্ম ২০১১ সালের শেষের দিকে। এবারের জন্ম মুসলিম হয়ে। মুসলমানের ঘরে জন্মেও প্রথম দফায় মুসলিম হতে পারিনি। প্রগতির ঠিকাদারেরা নাক সিঁটকাবে আমি মানুষ নই বলে। আমি হাসব ওদের মতো ঊনমানুষ না হয়ে মুসলিম হয়েছি বলে। নিজের অনিচ্ছায় পড়াশোনা করেছি ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেক্ট্রিক্যাল এঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। সেই পাট চুকিয়ে এখন পুরোদস্তুর পাঠক-লেখক-অনুবাদক। আমি আসলে অনুবাদ করি না। ভিনভাষার ভাবটাকে নিজের ভাষার ঢঙে রূপান্তর করি। সেটা ঠিক অনুবাদ হয় কিনা তা নিয়ে অনেকে আঙুল তুলতে পারেন। কিন্তু সাহিত্যের ভাষাকে আমি ভাব-বিনিময় বলেই মানি। স্ত্রী, দুই কন্যা, বাবা-মা, বোনদের নিয়ে দুনিয়ার মুসাফিরখানায় বেশ আছি। সব তারিফ আল্লাহর।