ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ গীর্জায় মানুষ যায় উপাসনার জন্য। অন্য কোন দিকে মন থাকে না,নজর থাকে না। কিন্তু গ্যালিলিও ছিলেন তার ব্যতিক্রম শিকলে বাঁধা ঐ বাতিটা দোলন একমনে তিনি লক্ষ্য করতে লাগলেন। তাঁর মনে হলো ওটার দোলনের মধ্যে যেন একটা ছন্দ রয়েছে। ওটা যেন একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর একবার করে পূর্ণ দোলন সমাধা করছে! কি করে ওর দোলনের সময় নির্ণয় করা যায়?- ঘড়ি তো নেই। তখন গ্যালিলিও কি করলেন জান?- নিজের নাড়ি টিপে সময়ের হিসেব করে দেখতে লাগলেন-বাতিটা এক একটি সম্পূর্ণ দোলন সমাধা করতে কতো সময় লাগে। একজন সুস্থ মানুষের নাড়ির স্পন্দন মিনিটে কতো বার হয় , তা জানা ছিল গ্যালিলিওর। এর পনের বছর পরে ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহারে একটি নিরাপদ উপায় উদ্ভবিত হলো। সুইডেনে তখন একজন রসায়নবিদ ছিলেন। নাইট্রোগ্লিসারিনকে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলে মানুষের কল্যাণকর কাজে নিয়োজিত করবেন -এই ছিল তাঁর স্বপ্ন। আর এই উদ্দেশ্যে তিনি জিনিসটা নিয়ে গবেষণাও শুরু করেছিলেন। গবেষণাগারে নোবেল কয়েক পিপা নাইট্রোগ্লিসারিক মজুত রেখেছিলেন । আর গবেষণাগরের মেঝেতে ছড়ানো ছিল এক বিশেষ ধরনের মাটি, নাম তার ‘কিসেলগার’ । এক শ্রেণীর ক্ষুদ্র সামুদ্রিক জীবের দেহাবশেষ সূক্ষ্ণ বালুকণার সঙ্গে মিশে এই বিশেষ ধরনের মাটির সৃষ্টি।