'"হিসনে হাসিন" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ হিসনে হাসিন মূলত নির্ভরযােগ্য হাদীসগ্রন্থ থেকে সংকলিত দোয়া, আজকার ও আয়াতের একটি গ্রহণযােগ্য ও প্রসিদ্ধ বই। আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ আল-জাযারি শাফেঈ রহ. (মৃত্যু : ৮৩২ হি.) তৈমুরি ফেতনার সময় বইটি লেখেন। ঘটনাক্রমে বইটি লেখার পরপরই আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় তিনি তাদের রােষানলে পড়েন (যার আলােচনা কিতাবের ভূমিকায় আসবে)। এই আকস্মিক বিপদের সময় নিয়মিত হিসনে হাসিন খতমের বরকতে তিনি ও শহরের মুসলমানরা কঠিন বিপদ থেকে রক্ষা পান। তৈমুরবাহিনী অবরােধ উঠিয়ে নেয়। এজন্য সাধারণত মানুষ এ ধরনের আকস্মিক বিপদ-আপদে হিসনে হাসিন খতম একটি পরীক্ষিত আমল মনে করেন। নিজে পড়েন, অন্যদের দিয়ে পড়ান। আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় ইখলাসের সঙ্গে যারা বইটি খতম করেন, তারা এই মাসনুন দোয়া-আজকার এবং মুসতাজাবুদ দাওয়াত (যার দোয়া কবুল হয়) লেখকের দোয়ার বরকতে নিজ উদ্দেশ্যে সফলতাও লাভ করেন; তবে লেখকের উদ্দেশ্য এটা ছিল না। দোয়াগুলাে সংকলনের দ্বারা লেখকের উদ্দেশ্য ছিল, মানুষ যেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত রাত-দিনের বিভিন্ন সময়ের বর্ণিত দোয়া ও আয়াত যথাসময় পড়েন; এভাবে যেন দিন-রাত কর্মব্যস্ত মানুষের মনে আল্লাহ তাআলার স্মরণ জাগ্রত থাকে; তারা যেন আল্লাহ থেকে উদাসীন না হয়ে যায়—এটাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ও শিক্ষা।'