হে যুবক
তোমাকে বলছি হে যুবক' বইটিতে সীরাতুন্নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে রচিত অনন্য সাধারণ একটি গ্রন্থ। বইটি শুরুতেই লেখক শায়খ মুহাম্মাদ আরিফী তাঁর একটা ক্লাসে ঢুকে নবীজি (সা) এর জীবনী সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন করেন যা অতি সহজ প্রশ্ন ছিল। কিন্তু কোন ছাত্রই ভালভাবে উত্তর দিতে পারে নি বরং হাস্যকর উত্তর দেয়। এ থেকে লেখক গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন এবং গ্রন্থটির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। এরপর প্রথমেই তিনি খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে ৮পৃষ্ঠার মধ্যে নবী(সা) এর জীবনী, স্ত্রী ও সন্তানদের নাম ও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো কয়েক কথায় উল্লেখ করেন। এরপর তিনি নবী(সা) এর জীবনের মুজিজার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মুজিজার বর্ণনা করেন দলিলসহ এবং সেগুলোর সুন্দর সুন্দর শিরোনাম দিয়েছেন। কিছু তুলে।ধরা হলো- *ভবিষ্যৎবাণী ও দূর-দূরান্তের সংবাদ প্রদান *বিষ খাওয়ানোর ঘৃণ্য চেষ্টা *আমার রব তোমার রবকে হত্যা করে ফেলেছেন *অভূতপূর্ব মেহমানদারী *মহাজগতিক বস্তুতে নবীজীর মু'জিযা *প্রাণীকুলের উপর কর্তৃত্ব *গাছের উপর প্রভাব এরপর নবী(সা) এর বরকতের মু'জিযা নিয়ে শিরোনাম সহ বেশ কিছু ঘটনা উল্লেখ করেছেন। *পানাহার সামগ্রীতে বরকত *খাবারে বরকত *আবু হুরায়রা! আরও পান কর এরপর নবী(সা) এর প্রতি ষড়যন্ত্রকারীদের পরিনতি নিয়ে কিছু ঘটনা বর্ণনা করেছেন। এরপর সাহাবী(রা) এর নবী(সা) এর প্রতি যে ভালবাসা পোষণ করতেন তার উদাহরণ দিয়ে কিছু ঘটনা উল্লেখ করেছেন। গ্রন্থটির শেষের দিকে নবী(সা) এর মর্যাদা সমন্ধে কিছু কথা কুআনের আয়াতের প্রেক্ষাপটে আলোচনা হয়েছে। নবী(সা) এর শানে আমরা যে বাড়াবাড়ি করি সেসবের না করার প্রতি গুরত্ব আরোপ করেছেন। এরপর নবী(সা) এর হক নিয়ে ৬(ছয়) টি নসিহত করেছেন। আমাদের পরকালে যে একমাত্র সুপারিশকারী নবী(সা) এর সুপারিশ পেতে হলে কি করণীয় তা সংক্ষেপে জানানোর চেষ্টা লেখক করেছেন। একদম শেষ দুই পৃষ্ঠার একটিতে কিছু ভাল বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করতে উৎসাহিত করেছেন এবং শেষ পৃষ্ঠায় হাদীসের আলোকে উত্তম ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন।