ডিসেম্বর ১৯, ১৯৩১।
দুইবন্ধু, এরকুল পোয়ারো আর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের ডিটেকটিভ, এডওয়ার্ড ক্যাচপুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবারের বড়োদিনটা একসাথে লন্ডনে কাটানোর। আচমকাই পোয়ারোর বাড়িতে হাজির হলো ক্যাচপুলের নাছোড়বান্দা মা, সিনথিয়া। পোয়ারোকে রাজি করাল নরফোক উপকূলের এক ক্ষয়িষ্ণু প্রাসাদে বড়োদিনটা কাটানোর পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বর্গ হিসেবে পরিচিত নরফোক হাসপাতালে সংঘটিত একটা খুনের তদন্ত করতে।
এই হাসপাতালেই দীর্ঘ মেয়াদি রোগি হিসেবে ভর্তি থাকবে সিনথিয়ার বন্ধু আরনল্ড। তবে সেখানে ভর্তি করতে রাজি নয় আরনল্ডের স্ত্রী। কারণ তার ধারণা, আরনল্ডই খুনির পরবর্তী শিকার।
নরফোকে হাজির হলো দুই বন্ধু।
নরফোকের এই ক্ষয়িষ্ণু প্রাসাদের দুঃস্বপ্নময় পরিবেশ থেকে পালাতে এবং লন্ডনে বড়োদিন উদযাপন করতে মরিয়া দুই বন্ধু। আর সেটা করতে হলে এক হপ্তার মধ্যেই খুঁজে বের করতে হবে খুনিকে, নইলে পরবর্তী খুনটা কোনো ভাবেই ঠেকানো যাবে না।
এদিকে বিষপ্রয়োগের শিকার হলো পোয়ারো স্বয়ং।
গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে আসছে খুনি…সমান তালে পাল্লা দিচ্ছে কিংবদন্তিতুল্য গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারোর তীক্ষ্ণধী মস্তিষ্কের সাথে।
‘সাইলেন্ট নাইট’-সেই শান্ত, সমাহিত, আলোকোজ্জ্বল, পবিত্র রাতে কে হাসবে শেষ হাসি?