কাফী খাঁ ওরফে প্রফুল্লচন্দ্র লাহিড়ীর জন্ম ১৯০০ সালের ৮ নভেম্বর। পিতা যতীন্দ্রনাথ লাহিড়ী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক। ইতিহাস ও অর্থনীতির মেধাবী ছাত্র প্রফুল্লচন্দ্র উভয় বিষয়েই এম এ পাশ করে ফেনি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। ‘শনিবারের চিঠি’-র সম্পাদক সজনীকান্ত দাসের আমন্ত্রণে তাঁর কলকাতায় আসা। কিছুকাল ‘শনিবারের চিঠি’ ও ‘অ্যাডভান্সড’ নামক দৈনিকে কার্টুন আঁকাআঁকির পর প্রফুল্লবাবু চলে আসেন। ‘অমৃতবাজার’ ও ‘যুগান্তর’-এ। শুরু হল বাংলা রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্রের অন্যতম বর্ণময় এক অধ্যায়। প্রতি রবিবার ‘যুগান্তর’-এ ‘ছোটোদের পাততাড়ি’ বিভাগে বের হত শেয়াল আর তার দোসর পণ্ডিতবেশি কুমিরের কীর্তিকলাপ। ছোটোরা তো আনন্দ পেতই, বড়োরাও এই চিত্রকাহিনি থেকে খুঁজে নিতেন অভিপ্রেত পলিটিকাল স্যাটায়ার। একেবারে শুরুতে ‘শেয়াল পণ্ডিত’-এ কোনো ক্যাপশন থাকত না। কয়েক সপ্তাহ পর থেকে প্রফুল্লচন্দ্রের শ্যালক হরেন ঘটক কার্টুনের সঙ্গে যাওয়ার জন্য ক্যাপশনসহ ছড়া লিখে দিতে শুরু করেন। কাফী খাঁ ও হরেন ঘটকের যুগলবন্দি অচিরেই জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমান গ্রন্থ দীর্ঘ দু-দশক ধরে চলা এই জনপ্রিয় স্ট্রিপ কার্টুন সিরিজের নির্বাচিত সংগ্রহ।
উইলিয়াম শেক্সপীয়ার
উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের নাটক সারা বিশ্বব্যাপী তিন শ' বছর ধরে মঞ্চস্থ হয়ে আসছে। তার স্বদেশ ইংলণ্ডে তাে বটেই, একদা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত সকল দেশেই। তাঁর নাটকের অনুবাদও পৃথিবীর সকল প্রধান ভাষাতে নানান সময়ে নানা ব্যক্তি করেছেন। বাংলাতেও ঊনবিংশ শতক থেকে অদ্যাবধি তাঁর নাটকের ভাষান্তর অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু যারা যথার্থ নাট্যরসিক নন তাঁরা কি কোনােভাবেই শেক্সপিয়ারের নাগাল পাবেন না? তাই কি হয়,
হওয়া উচিত? অন্তত তাঁর নাট্যাবলির আখ্যানভাগ জানা সকলেরই প্রয়ােজন। এই প্রয়ােজন উপলব্ধি করেই তাঁর নাটকের কাহিনী সকলের বােধগম্য নিতান্ত সাধারণ ভাষায় পরিবেশন করার। সিদ্ধান্তকে অনেকেই স্বাগত জানাবেন বলে আমাদের গভীর প্রত্যাশা। সে উদ্দেশ্য পূরণেই আমাদের এই উদ্যম।