একটি বৃহৎ আকারের খামার মানেই বিস্তর জমি আর অঢেল পুঁজি খাটানাের বিষয় নয়। অথচ অনেকেই এটা ভেবে মুরগির খামার করা থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না, শুরুর দিকে বৃহৎ আকারে না হলেও ছােট আকারেও একটি হাঁস-মুরগির খামারের গর্বিত মালিক হতে পারেন তারা। সেই খামার থেকে উৎপাদিত মাংশ আর ডিম খাওয়া এবং সেগুলাে বিক্রি করে সত্যিকারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনা কঠিন কোন কাজ নয়। স্বচ্ছল চাষী এবং দারিদ্র সীমার সামান্য উপরের স্তরের মানুষদের জন্য এইটুকু পুঁজি খাটানাে খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। তবে ছােট হােক আর বড় হােক- হাঁস-মুরগির খামার করার আগে এই বিষয়ে জরুরী কিছু জ্ঞান অর্জন করা একান্ত আবশ্যক। কারণ, শুধু পালন করাই নয়- তাদের পরিচর্যা করাটাও হতে হবে সম্পূর্ণ যৌক্তিক পদ্ধতিতে। | সুষ্ঠুভাবে একটি হাঁস-মুরগির খামার তৈরি করতে হলে চাই উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা। হাঁস-মুরগির উত্তোরত্তর উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বা লাভের মুখ দেখতে পাবেন খামারী। একটি কথা মনে রাখতে হবে, হাঁস-মুরগির খামার শুধু একজন লােকের নির্দিষ্ট পেশার বিষয় নয়। এর সাথে জড়িত রয়েছে অন্যান্য কিছু পেশার লােকজন। আদর্শ খামারে স্বাস্থ্যসম্পন্ন বাচ্চা, ডিম, মাংস ইত্যাদি উৎপন্নের পাশাপাশি এই খামারের হাঁসমুরগির খাবার-দাবারের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকা দরকার। উৎপাদনের উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে মুরগির খামার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। মাংস উৎপাদনের জন্য মুরগি পালন করলে। একে বলা হয় ব্রয়লার খামার। আবার ডিম উৎপাদনের জন্য খামার করলে একে বলা হয় লেয়ার খামার। তবে যে খামারই স্থাপন করা হােক না কেন তা লাভজনক করতে চাইলে প্রয়ােজন সুষ্ঠু পরিকল্পনা, বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনা ও সঠিক পরিচালনা।