হরিয়ানার কাছে ছোট্ট শহর গুরগাঁও। সেখানেই ফেসবুক মারফত পরিচয়সূত্রে হিমু আর অনীশের সাথে দেখা হয় চৌকস মেয়ে রাশমণি ওরফে রাশুর। রায়গড় জঙ্গলের ভেতর ভারটগ হাভেলি ঘিরে তৈরি হয় জমজমাট রহস্য। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় বা তারও আগে নির্মিত এই আলিশান হাভেলি মেলা হাত ঘুরে আসে ব্রিটিশ সাহেব ভারটগের কাছে। সেই ভারটগ হাভেলি ঘিরে একের পর এক ঘটতে থাকে ভয়ংকর সব কাণ্ড। মধ্যরাতে জানালার কার্নিশে কটমট করে তাকায় কালোপাড় লালশাড়ি জড়ানো ছায়ামানবী। রহস্য ঘাঁটতে গিয়ে আচমকা মারা পড়ে নির্দোষ দারোয়ান জগদীশ। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলে, জগাদাকে নাকি শাসরোধ করে মারা হয়েছে। গলায় তার শাড়ির আচলের দাগ ছিল।
রাশুর নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে হাভেলিতে হানা দেয় হিমু ও অনীশ। মাঝরাতে অকারণ পিয়ানো বেজে ওঠার রহস্য খুঁজতে না খুঁজতেই ছায়ামানবীর আক্রমণের শিকার হয় ওরা। রাশু আর হিমু পালিয়ে বাঁচে, ধরা খায় বেচারা অনীশ। তারপর....?
অরুণ কুমার বিশ্বাস
অরুণ কুমার বিশ্বাসের জন্ম ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ গােপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায় জহরের কান্দি গ্রামে। এসএসসি ইস্ট কোটালীপাড়া ইউনিয়ন হাই স্কুল, ১৯৯৩। এইচ,এস,সি নটরডেম কলেজ, ঢাকা, ১৯৯৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে সম্মানসহ এম এ, ২০০১। মেধার স্বীকৃতি হিসেবে নটরডেম কলেজ থেকে পেয়েছেন অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স। শুল্ক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার এই লেখক সম্প্রতি ইংল্যান্ডের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লন্ডন মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিউম্যান রিসাের্স ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স ডিগ্রী (পাস উইদ মেরিট) অর্জন করেন। ব্র্যান্ড একুইটি মডিউলে পান ডিসটিশন নম্বর। কলেজে পড়ার সময় থেকে নিয়মিত লিখছেন। ছড়া, কবিতা, ছােটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, গােয়েন্দা কাহিনী । উল্লেখ্য, কিশাের উপন্যাসে তিনি বিশেষ স্বচ্ছন্দ। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পঁচিশ বলতে গেলে পাড় পাঠক তিনি। বিশ্বসাহিত্যের সকল ভাষা ও শাখায় বিচরণ করে অমিত আনন্দ পান। গর্সিয়া মার্কেজ থেকে দস্তয়েভস্কি, এরিস্টটল থেকে স্টিফেন হকিংস, তদুপরি বাংলা সাহিত্যের অফুরান রসভাণ্ডার তাকে সারাক্ষণ আবিষ্ট করে রাখে। তিনি লিখতে ভালবাসেন, তবে পাঠের আনন্দ অবিমিশ্র, অসীম।ভ্রমণ তার প্রিয় শখ, খানিকটা নেশার মতাে। নতুন দেশ, নতুন মানুষ তার গবেষণার বিষয়। ভ্রমণ করেছেন ইংল্যান্ড, ওয়েলস, দুবাই ও সাউথ আফ্রিকা। জীবনটাকে স্রেফ সরাইখানা মেনে কোথাও শেকড় গেড়ে থিতু হবার বাসনা নেই একদম । এমনি করে যায় যদি দিন যাক না!