হাওর করাইয়ার কৃষক আন্দোলন আমাদের দেশের মার্কসবাদী আন্দোলনের বৃহত্তর প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এই আন্দোলন দু’অংশে বিভক্ত। আন্দোলনের মূল পর্ব ও মুক্তিযুদ্ধ পর্ব। হাওর করাইয়ার কৃষক আন্দোলনটি ছিল স্থানীয় ভিত্তিক। হাওর করাইয়া ছিল সাধারণ মানুষের সম্পত্তি কিন্তু স্থানীয় জোতদাররা তা দখলে রাখে। কৃষকরা সেই জমি দখল করে এবং নিজেদের মধ্যে বন্টন করে। এই নিয়ে সংঘর্ষ হয়। কিন্তু কৃষকরা তাদের বিজয় রক্ষা করতে সক্ষম হয়। হাওর করাইয়ার কৃষক আন্দোলনে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো শিক্ষাই এই রচনায় দেখতে পাওয়া যায়।
মাহফুজুর রহমান
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ১লা জানুয়ারিতে, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত জেলা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বাদে-সোনাপুর গ্রামে। বাল্যকাল কেটেছে গ্রামীণ জনপদে। পরবর্তীকালে লেখাপড়া ও পেশাগত কারণে বাংলাদেশের নানা অঞ্চলে ঘুরে, বিচিত্র অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হয়ে ওঠেছেন। ছাত্র জীবনের শুরুতেই বিপ্লবী রাজনীতির হাতেখড়ি। যা এখনও তার সাধনার মূল বিন্দু। পরবর্তীকালে রাজনীতির সাথে সম্পর্ক রেখে, সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সার্বকক্ষণিক কর্মী হিসেবে জড়িয়ে পড়েন। কোনো নির্দিষ্ট পেশা গ্রহণ না করে, লেখাকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তার লেখার উপজীব্যও ইতিহাসের সংগ্রামী উপাখ্যান। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের গ্রাম-জনপদ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধ, বিপ্লবী রাজনীতির কাহিনী সংগ্রহ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ: জীবনী গ্রন্থ বিপিন পাল; মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন; সৈয়দ মুজতবা আলী।
মাহফুজুর রহমান
মাহফুজুর রহমান কিশােরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার চরফরাদী গ্রামে জন্ম পিতা আলিম উদ্দিন আহমেদ এবং মাতা খােদেজা খাতুন। অধ্যয়নস্থল- পাকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকুন্দিয়া পাইলট মডেল হাই স্কুল, ভৈরবের কে.বি. হাই স্কুল ও হাজী আসমত কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব ফিলিপিন্স। স্কুলজীবন থেকে লেখালেখির শুরু। ছােটোবেলায় গল্প শুনতে শুনতে কল্পনায় ভেসে যেতেন দিগন্ত ছাড়িয়ে। বড়ােবেলায়ও নেশা দেশভ্রমণ। বাংলাদেশের সকল জেলা এবং দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণের রঙিন চশমা পরে ঘুরে বেড়িয়েছেন অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া পৃথিবীর সব মহাদেশ। আর সেসব স্মৃতিকেই পুঁজি করে লিখেছেন দেশ হতে দেশ দেশান্তরে, পাঁচ চিলতে ইউরােপ, উড়ে গেলাম ঘুরে এলাম, দেখা অদেখা মিয়ানমার, দুরবিনে। দূরদেশ, গুড মর্নিং ফিলিপিন্স এবং আরও। অনেকগুলাে বই। পুরস্কার : অগ্রণী ব্যাংক শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কার, সুকুমার সাহিত্য সম্মাননা, আবু হাসান শাহীন স্মৃতি শিশুসাহিত্য পুরস্কার, ছােটোদের সেরা বই ২০১৪, চন্দ্রাবতী একাডেমি পুরস্কারসহ আরও কিছু সম্মাননা। স্ত্রী নাদিরা বেগম এবং তিন কন্যা-কীর্তি, অর্থী ও শ্রেয়াকে নিয়ে তাঁর ছিমছাম সংসার। কীর্তিসূত্রে বর্তমানে তার সংসারে যােগ দিয়েছে মিতুল ও সুহৃদ।