‘হালুম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ রয়েল বেঙ্গল টাইগার যেভাবে আমাদের দেশকে সম্মানের সাথে প্রতিনিধিত্ব করে, আমরা সবাই যেন সেই বাঘের মতো বাংলাদেশকে প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি। আমি বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার হতে পেরেছি, তোমরাও চাইলে বিশ্ব জয় করতে পারবে। হালুম!!!
সাকিব আল হাসান
সাকিব আল হাসান ফুটবল পাগল পরিবারে জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ। ডাকনাম ময়না। মাত্র পনের বছর বয়সে অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট দলে সুযােগ পেয়ে যান। ২০০৫ সালে অনুর্ধ-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মাত্র ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করেন। সঙ্গে তিন উইকেট। তাঁর অলরাউন্ড কৃতিত্বে শ্রীলংকাকে হারিয়ে সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। অসামান্য এই কৃতিত্বে সুযােগ পান জাতীয় দলে। জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। প্রথম খেলায় ব্যাট হাতে করেন ৩০ বলে ৩০ রান। ক্রিকেট বাের্ডের সঙ্গে ওই বছরই চুক্তিবদ্ধ হন সাকিব। তাঁর টেস্ট অভিষেক হয় পরের বছর ২০০৭ সালে। একই বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়ােজিত আইসিসি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৪ রান ও ৪ উইকেট নেন সাকিব। সাকিবই প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার যিনি টি-টুয়েন্টিতে ৩টির বেশি উইকেট নেয়ার গৌরব অর্জনকরেন।
অলরাউন্ড কৃতিত্বের কারণে ২০০৯ সালের। আইসিসির একদিনের অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিং-এ এক নম্বরে উঠে আসেন সাকিব। মাত্র ২২ বছরে বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ও বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসের পঞ্চম কনিষ্ঠতম অধিনায়ক হন সাকিব। তাঁর নেতৃত্বে ২০০৯-১০ সালে দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সিরিজ জেতে বাংলাদেশ ওই সফরে ওয়ান ডে সিরিজেও ‘সেরা খেলােয়াড় হন সাকিব। তিন ফরমেটের ক্রিকেটে অলরাউন্ডার হিসেবে আইসিসি র্যাঙ্কিং-এ এখন এক নম্বর সাকিব আল হাসান। সর্বশেষ ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিং এর সেরা হওয়ায় আইসিসি সাকিব আল হাসানকে ‘রানাওয়ে লিডার' হিসেবে ঘােষণা করেছে। নি:সন্দেহে বলা যায় বাংলাদেশের গর্ব সাকিব আল হাসান।