এই বইয়ের প্রধান চরিত্র হিমেল। অসম্ভব প্রতিভাবান, কিন্তু বাস্তব বুদ্ধিতে একদম কাঁচা এক ছেলে। পাড়ার দোকান থেকে এক ডজন ডিম কিনতে গেলেও দোকানদার তাকে ঠকিয়ে দেয়, অন্যদিকে অ্যাকাডেমিক পড়াশোনায় কখনো দ্বিতীয় হয়নি সে।
একমাত্র যেকোনো চ্যালেঞ্জ পেলেই তার শিরদাঁড়া খাড়া হয়ে ওঠে। রক্তে তখন প্রজাপতি নাচে। চ্যালেঞ্জ তার কাছে নেশার মতো। আর এই নেশা থেকেই সে জড়িয়ে পড়ে হ্যাকিংয়ে।
নিজেকে মূলত একজন এথিক্যাল হ্যাকার বলতে ভালোবাসে সে। তারপর একদিন সে টের পায়, অন্তর্জালের জাল তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে নিচে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তখন তার দিকে হাত বাড়ায় ক্লাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল মেয়ে ফ্লোরা, যে একদিন তার প্রেমে পড়েছিল। অন্যদিকে সাহানাও তো তার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে। কী করবে সে?
রাহিতুল ইসলাম
রাহিতুল ইসলাম একজন বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক, লেখক ও নাট্যকার। বর্তমানে দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে সাংবাদিকতা করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেন। তবে তাঁর আগ্রহের বিষয় মূলত তথ্যপ্রযুক্তি। সংবাদপত্রে লিখে আর কথাসাহিত্য রচনার মধ্য দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন পাঠকদের এই জগতের জানা-অজানা নানা বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত করাতে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১২। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’, ‘চরের মাস্টার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার’, ‘হ্যালো ডাক্তার আপা’, ‘ভালোবাসার হাট-বাজার’ এবং ‘কেমন আছে ফ্রিল্যান্সার নাদিয়া’। ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইটি ফিলিপাইন থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইয়ের জন্য জাতীয় ফ্রিল্যান্সিং অ্যাওয়ার্ড (২০১৯) এবং ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’র জন্য এসবিএসপি সাহিত্য পুরস্কার (২০২১) পেয়েছেন।